বগুড়ার ধুনটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিবন্ধনে টাকা নেওয়ার অভিযোগ 

0
226
মাইনুল হাসান মজনু:
বগুড়ার ধুনটে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য হালনাগাদ (ভেরিফাইড ডাটাবেজ প্রণয়ন কার্যক্রম) করার নামে, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পর বিষয়টি আমলে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্জয় কুমার মহন্ত। তিনি তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে ওই ইউপি সদস্য কে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল করিম(কিনু’র) বিরুদ্ধে।তিনি জোড়খালী গ্রামের মৃতঃ মমতাজ উদ্দিন এর ছেলে। জানা গেছে,  সরকারিভাবে জনপ্রতি সুবিধাভোগীর ভেরিফাইড ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য ১৫ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেখানে জনপ্রতিনিধিরা অনলাইন করে দেওয়ার নাম করে সুবিধাভোগীদের কাছে থেকে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা করে আদায় করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৪ হাজার ৫০৯জন অসহায় দরিদ্র মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়। বছরে ৫ মাস ১০ টাকা কেজি দরে সুবিধাভোগীরা ৩০ কেজি করে চাল পান। গত ১৩ জুন খাদ্য অধিদপ্তর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের ডাটাবেজ প্রণয়নের জন্য স্ব স্ব দপ্তরে প্রতি সুবিধাভোগীদের অনলাইন বাবদ ১৫ টাকা করে ব্যয় ধরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গোসাইবাড়ি ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তথ্য অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জনপ্রতি সুবিধাভোগীর কাছ থেকে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী মোঃ শাহেব আলী, হায়দার আলী, মোছাঃ শিরিনা বেওয়া,মোছাঃ রোজিনা বেওয়া,মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোছাঃ জায়দা বেওয়া, মোঃ রেজাউল করিম ও মিলন সহ আরো অনেকেই সাংবাদিকদের বলেন, অনলাইনে নিবন্ধন করতে আব্দুল করিম কিনু মেম্বার আমাদের কাছে থেকে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা করে আদায় করছেন। তারা আরও বলেন, আমরা টাকা দিতে রাজি না হলে কার্ড বাতিল করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন ইউপি সদস্য আব্দুল করিম কিনু। তাদের দাবি,  সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের শাস্তি ও বিচার দাবি করা হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল করিম কিনু বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়নি। তারা শত্রুতামূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।  গোসাইবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদুল হক বাচ্চু বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সঠিক তদন্ত করে সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার মোহন্ত সাংবাদিকদের বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের অনলাইন ডাটাবেজ কাজের জন্য টাকা আদায়ের অভিযোগটি তদন্ত চলছে। এবং অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল করিম কিনু কে- কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। ৭দিনের মধ্যে সন্তোষ জনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ আগস্ট ,২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here