প্রতিনিধি,জামালপুরঃ
জামালপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জামালপুর সদর কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কাজলী আক্তারের প্রেমিক শামীম হাসান ও তার সহযোগী মামুন মিয়া। সোমবার রাতে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর থেকে শামীম হাসান এবং মামুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ জানান- পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। রিমান্ড মঞ্জুর হলেই জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে বেড়িয়ে আসবে হত্যার আসল রহস্য।
প্রসঙ্গত, ০৩ সেপ্টেম্বর সকালে জামালপুর সদর উপজেলার বানার নয়া পাড়া গ্রামের মোস্তফা কামালের স্ত্রী জোসনা বেগম ও তার মেয়ে কাজলী আক্তার ময়না বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরেনি। ০৪ সেপ্টেম্বর সকালে সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের কুমারিয়া গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের নিচ থেকে মেয়ে কাজলীর গলায় ওড়না প্যাচানো অবস্থায় রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ । এরপর ০৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বড়ইতার এলাকার বানার খাল থেকে উদ্ধার করা হয় জোসনা বেগমের মরদেহ।
এই ঘটনায় কাজলী আক্তারের সাবেক স্বামী আলম হোসেন ইমরানসহ ৬জনকে আসামী করে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন জোসনা বেগমের স্বামী ও কাজলী আক্তারের পিতা মোস্তফা কামাল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়- কাজলী আক্তার ময়নার সাবেক স্বামী আলম হোসেন ইমরান আবারো বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো। কাজলী আক্তার রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকি দয়ে আলম হোসেন ইমরান। এদিকে মামলার দ্বিতীয় আসামী হাসর আলীর সাথে কাজলী আক্তার ময়নার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু চতুর্থ আসামী শামীম হাসান, পঞ্চম আসামী মামুন মিয়া ও ষষ্ঠ আসামী রাশেদুল ইসলাম রাশেদের কারনে বিয়েটি ভেঙ্গে যায়। কাজলী আক্তার বিয়ের জন্য চাপ দিলে দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ আসামী কাজলী আক্তার ময়নাকে হত্যার হুমকি দেয়। অন্যদিকে মামলার তৃতীয় আসামী মেহেদী হাসান নিপুন একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা চাইলে ৪ লাখ টাকা প্রদান করে কাজলী আক্তার ময়না। এই চাকরি বিষয় নিয়ে মেহেদী হাসান নিপুনের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো কাজলী আক্তার ময়নার।
নিহত জোসনা বেগমের স্বামী ও কাজলী আক্তারের পিতা মোস্তফা কামালের ধারনা এই ৬জন আসামী জোড়া খুনের সাথে জড়িত রয়েছে।