নুরুন্নবী নুরু:
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পাষণ্ড পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টম্বর দুপুরে নারী শিশু আদালত-২ এর বিচারক রোকনুজ্জামান এ রায় প্রদান করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মমিনুর ইসলাম(৪৫) গংগাচড়ার মান্দ্রাইন বাধেরপাড় এলাকার হবি মিয়ার ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে আনুর বাজারে নিজস্ব চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করেন মমিনুর ইসলাম ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ১১ মার্চ সকালে চায়ের দোকানে স্ত্রী জেসমিন আক্তার গেলে ওই সুযোগে ১৩ বছরের নাবালিকা নিজ কন্যাকে ভয়ভীতি ভিতি দেখিয়ে জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এভাবে এর আগেও প্রায় তিন মাস ধরে নিজ কন্যাকে ধর্ষণ করে আসছিল মমিনুর ইসলাম। ধর্ষণের শিকার হওয়া কন্যা রাগে ক্ষোভে কাউকে না বলে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
পথিমধ্যে এলাকার লোকজন মেয়েকে দেখে বাড়িতে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে রংপুর নগরীর শাপলা চত্ত্বর বাসষ্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করে মা জেসমিন আক্তার। পরে মায়ের কাছে সব খুলে বললে ঘটনাটি জানাজানি হলে ১৩ মার্চ ভুক্তভোগির মা গংগাচড়া থানায় নিজ কন্যাকে একাধিকবার ধর্ষণের দায়ে মমিনুর ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কারি কর্মকর্তা আদালতে নিজ কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে মমিনুর ইসলামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তিতে মামলাটি রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক রোকনুজ্জামান,মমিনুর ইসলাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করে এরায় প্রদান করেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সরকারি কৌশলী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম তুহিন জানান, বিচারক রায় প্রদানের সময় বলেন, এখন যাবজ্জীবন হলেও আখেরাতে এর থেকেও কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে পিতা নামের কলঙ্খিত মমিনুর ইসলামকে।