মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক এমপি কমল

0
379
আবু সায়েম:
কক্সবাজার সদর- রামু- ঈদগাঁও উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ থেকে জনপদে সবখানেই এখন আলোচনার শীর্ষে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি । তিনি এলাকার মানুষের বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীক।
নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক উন্নয়নসহ শিক্ষা,  চিকিৎসা, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি নিয়ে একশ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নাখোশ হলেও তিন উপজেলার সাধারণ মানুষ অনেক বেশি খুশি। তার গঠন মুলক কাজে মানুষ সমর্থন দিচ্ছে। এমপি কমলের কারণে জনগণের কাছে সরকার ও আওয়ামী লীগ উজ্জ্বল হচ্ছে ও হয়েছে । দলের আদর্শিক ও ত্যাগী নেতারাও তার জনবান্ধব কর্মকান্ডের ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও জনপদে এমপি কমলের অবদান ভুলার নয়।
দেশে কোভিড-১৯ করোনা যখন মহামারীর রূপ ধারণ করে তখন প্রাণের শহরে দামী নামের দামী নেতাগণ বিশেষ করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে ওদের সাঙ্গপাঙ্গ সহ নিয়ে ঢাকায় গা ডাকা দিয়েছিল। যা কক্সবাজারের মানুষ রাজ স্বাক্ষী।
রেড জোন এলাকার মানুষদের প্রতিদিন খোঁজ খবর নেওয়ার এবং আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করা ব্যক্তিটি ছিলেন আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি।
করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন মানুষ মরছে, তখন মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে পিতার কাছে পুত্র, পুত্রের কাছে পিতা যায়নি। জানাজায়ও অংশ নিতে পারেনি। মমতাময়ী মায়ের জানাজা পড়তে পারেনি অনেক সন্তান।
কিন্তু সেই করোনা সংকট কালিন মুহুর্তে জীবনের বাজী রেখে লাশের কফিন কাঁধে নিয়ে কবরস্থ করেছেন অনেক ব্যক্তিকে, এই এমপি কমলই তা দেখিয়েছেন।
করোনা কালিন কর্মহীন হয়ে মানুষ যখন কঠিন সময় পার করেছিলেন, তখন মানুষের দরজায় দরজায় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া ব্যক্তিটি ছিলেন এমপি কমল।
হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসার খোঁজ খবর, তার বাড়িতে খাবার সামগ্রী আছে কিনা খবর নিয়েছেন এমপি কমল।
করোনা কালীন যখন এই জনপদের মানুষ বন্যা কবলিত হন, সেই সব বিপন্ন মানুষের পাশে খাদ্য, বস্ত্র,  ঔষধ নিয়ে গিয়েছিলেন এমপি কমল।
করোনা কালীন সকল ভয়কে পিছনে ফেলে জনগণের সেবা দিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর পদযাত্রী হয়েছিলেন এমপি কমল।
এই জনপদে রাস্তা, ঘাট, স্কুল কলেজ, ক্রীড়াঙ্গনসহ অনেক কিছুতে এমপি কমলের অবদান আছে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি।
এমপি কমলের সহযোগিতা পেয়ে অনেক বিপন্ন মানুষ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরেছেন।
এমপি কমল এই জনপদের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে সম্মান দিয়েছেন, তাই তিনি সম্মানিত।
কক্সবাজার সদর- রামু- ঈদগাঁও এলাকার অনগ্রসর শিক্ষা ব্যবস্থা তার অবদানে অনেক এগিয়ে। তিনি বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার মানুষকে আলাদা থানা এবং উপজেলা দিয়েছেন।
আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির কাছে এই জনপদের মানুষ সত্যি কৃতজ্ঞ।
সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর মাসিক বেতনের টাকা,নির্বাচনী এলাকার ভাতা,সম্মানী ভাতা,মাসিক পরিবহন ভাতা, নির্বাচনী এলাকায় অফিস খরচ, প্রতিমাসে লন্ড্রি ভাতা, মাসিক ক্রোকারিজ, টয়লেট্রিজ কেনার ভাতা, দেশের অভ্যন্তরে বার্ষিক ভ্রমণ খরচসহ স্বেচ্ছাধীন তহবিল বার্ষিক টাকাগুলোও তিনি অসহায়, অসুস্থ মানুষকে বিলিয়ে দিতে দেখিছি। সাইমুম সরওয়ার কমল একদিনে সৃষ্টি হননি। এইজনপদে কার কি অবদান; একটু ভেবে দেখুন।
এমপি কমল সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক। তাঁর মতো কর্মী ও সাধারণ জনবান্ধব নেতা সারা বাংলায় কয়েকজন খুঁজে পাওয়া যাবে।
সাইমুম সরওয়ার কমলের মতো একজন আর্দশিক, কর্মী বান্ধব নেতা পেয়েছি বলে কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও উপজেলার মানুষ সত্যি ভাগ্যবান। সাইমুম সরওয়ার কমল ১৯৭০ সালের ২ জানুয়ারি কক্সবাজারের রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
সাইমুম সরওয়ার কমল স্বেচ্ছাসেবক লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন । তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর সাইমুম সরওয়ার কমল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ আসনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তাঁর পিতা ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ও মাতা রওশন চৌধুরী।
তাঁর পিতা সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী বহুগুণে গুণান্বিত মানুষ ছিলেন। তিনি রাজনীতি, শিক্ষার প্রসার, সমাজসেবা, ক্রীড়া, সংস্কৃতিসহ গণমানুষের কল্যাণে নিজ কর্মদক্ষতায় মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী শুধু কক্সবাজারের নন, তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সমাজসেবক ছিলেন। শিক্ষা ও জনকল্যাণে তাঁর অবদান এদেশে বিরল। তিনি রামুর সন্তান হলেও যেখানে বিচরণ করেছেন সেখানেই নিজের কর্মকান্ডে সেবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
অধ্যক্ষ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী ১৮ অক্টোবর ১৯৩৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মালেকুজ্জামান সিকদার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here