রানা ইস্কান্দার রহমান:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম মধ্য রাধাকৃষ্ণপুর। জেলা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামে বিশেষ ধরনের এক চা তৈরি হয়। যার নাম পোড়া চা। মাটির কাপে পোড়ানো এই চায়ের স্বাদ ভিন্ন। তাই তো এই চায়ের স্বাদ নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভিড় করছেন। জানা গেছে, প্রতি কাপ চায়ের দাম ২৫ টাকা। বিকেল থেকে চাপ্রেমীদের ভিড় জমে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে নিতে হয় চায়ের স্বাদ। এভাবে বেচাবিক্রি চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
চা খেতে আসা নাইমুল ইসলাম বলেন, পোড়া চায়ের গল্প শুনে তা দেখতে ও খেতে ইচ্ছা জাগে। পরে পরিবারেরর সবাইকে নিয়ে চা খেতে এলাম। এই চায়ের স্বাদ স্বাভাবিক চায়ের চেয়ে অনেক বেশি। জীবনে প্রথম পোড়া চা খাচ্ছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোড়া চায়ের খ্যাতি আর স্বাদের কথা শুনছি। তাই ছুটির দিনে চা খেতে এলাম। পড়ন্ত বিকেলে সবার সঙ্গে চায়ের আড্ডা খুবই ভালো লাগছে।
নয়ন নামে এক যুবক বলেন, জীবনে প্রথম পোড়া চা খাচ্ছি। সচারাচর আমরা বিভিন্ন সময় হাট-বাজারে চা খেয়ে থাকি। তবে অন্য চা থেকে এর স্বাদ একটু ভিন্ন।
চা তৈরির মাঝে কথা হয় বিক্রেতা ফয়জার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ৩৭ বছর ধরে বিভিন্ন এলাকায় চায়ের দোকান দিয়ে সংসার চালাচ্ছি। দেড় বছর আগে নিজের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করি বিশেষ পোড়া চা। প্রতিদিন ২ মণ দুধ দিয়ে চা তৈরি করি। কিন্তু ছুটির দিনে চায়ের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দুধও বেশি লাগে। প্রতিটি পোড়া চা ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল আলম আ বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের পোড়া চায়ের কথা শুনেছি। আমি নিজেও খেয়ে দেখেছি। স্বাভাবিক চায়ের চেয়ে এর স্বাদ ভিন্ন। পোড়া চায়ের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।