আহসান হাবীব :
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় মোগলিশপুর গ্রামে সুজি, ময়দা, চিনি ও চিটা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল গুড়। তবে দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো ভেজাল গুড়। অবশেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ওই ভেজাল গুড়
কারখানার সন্ধান মেলে। এতে ওই কারখানার এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া সদর উপজেলার আরও তিন প্রতিষ্ঠানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি সংরক্ষণ, পোকামাকড়ের উপস্থিতি ও খোলা লবণ ব্যবহার করায় ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
২১ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর ও মহাদেবপুর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন।
তিনি বলেন, তদারকিকালে মহাদেবপুর উপজেলায় মোগলিশপুর এলাকার মেসার্স জিল্লুর গুড় ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী জিল্লুর রহমানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সুজি, ময়দা, চিনি এবং চিটা গুড়ের সমন্বয়ে ভেজাল গুড় তৈরির দায়ে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেইসঙ্গে ৪৮০ কেজি ভেজাল গুড় ঘটনাস্থলে ধ্বংস করা হয়।
এছাড়া নওগাঁ সদর উপজেলার গোশতহাটির মোড় ও ঘোষ পাড়া এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঢাকনাবিহীন পাত্রে মিষ্টি সংরক্ষণ, মিষ্টিতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি এবং খোলা লবণ ব্যবহারের অপরাধে নওগাঁ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে ৫০ হাজার টাকা, সাব্বির হোটেলকে ২০ হাজার টাকা এবং নিপেন ঘোষ দই ঘরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। চার প্রতিষ্ঠানকে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার জরিমানা আদায় করা হয়।
জনস্বার্থে এ ধরনের তদারকি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা।