আবু সায়েম:
কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারার বহুল আলোচিত রংমহলে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম ও সাহাব উদ্দিন নামের দুই বালিখেকোকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। সাইফুল ইসলাম কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারার ষোলহিচ্ছা এলাকার বাহার উল্লাহর পুত্র এবং সাহাব উদ্দিন ডুলাহাজার এনাম মিয়ার পুত্র।আজ মঙ্গলবার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের মামলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা মোঃ আলাল। সংশ্লিষ্টরা জানান, সাইফুল ইসলাম, সাহাব উদ্দিন সহ ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়ার ডুলাহাজারা এলাকার পাগলিরবিল, বগাচতর ও জঙ্গল খুটাখালী মৌজার আনুমানিক ৫০ একর সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনভূমি থেকে ড্রেজার মেশিন ও এস্কেভেটর দিয়ে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে।সিন্ডিকেটটির বিরুদ্ধে বন আইনে ২৪টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় বন বিভাগ প্রায় ৯ লাখ ঘনফুট বালি, ৬১ টি ড্রেজার মেশিন ও ৬টি বালি ভর্তি ট্রাক জব্দ করে। জব্দকৃত বালির মূল্য ৩০ লাখ টাকারও বেশি। এদিকে সাইফুল ইসলাম কৌশলে তথ্য গোপন করে জব্দকৃত বালি উপজেলা প্রশাসন থেকে নিলামে কিনে নিয়েছে দাবি করে দুই দিন ধরে তা বিক্রি শুরু করে। অপরদিকে বন বিভাগ তা বাধা দেয়।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, ‘সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে আমরা সব সময় সজাগ ও সতর্ক রয়েছি। সংরক্ষিত বনভূমি থেকে বালি উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই।সেজন্য আমরা টহল জোরদার করে তা বন্ধ করেছি। ট্রাকভর্তি বালি জব্দ করে ২৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা আদালতে এখনো বিচারাধীন আছে। এ অবস্থায় জব্দকৃত বালি নিলামের কোন সুযোগ নেই। এছাড়া নিলাম ডাককারী সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে, এর মধ্যে একটি মামলায় তাকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে।সরকারি সম্পদ রক্ষার্থে বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।