ছদ্মবেশে ৩৪ বছর আত্মগোপনে থেকেও অবশেষে র‌্যাবের হাতে ধরা 

0
247
মো: মহিদ:
১৩ বছরের সাজা এড়াতে ৩৪ বছর বিভিন্ন ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকার পরও শেষ রক্ষা হলো না মো. মাজহারুল আলমের (৭০)। অবশেষে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকা থেকে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৪ এর সিপিসি-৩ এর মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।  গ্রেফতারকৃত মো. মাজহারুল আলম সদর উপজেলার নালড়া এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, মাজহারুল ১৯৮১ সালে নিজের সনদপত্র জাল করে হরিরামপুর উপজেলা মুন্সেফি আদালতে নাজির হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। কর্মরত অবস্থায়  আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে টাকার বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন কাগজপত্র পাচার করেন। এছাড়া দায়িত্বে থাকাকালে সরকারি টাকা বিভিন্ন ভুয়া কাগজপত্র করে আত্মাসাৎ করেন। একপর্যায়ে আদালতের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও সিল ও স্বাক্ষর জালের বিষয়টি জানতে পারেন। পরে মাজহারুলের নামে ৯(১)৮৭, ধারা- ৪২০/৪৭১ দঃ বিঃ এবং দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ (২) মামলা হয়। মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামির বিরুদ্ধে  আদালতে চার্জশিট দেন। পরে তথ্য প্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯৮৮ সালে মাজহারুল আলমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর বিগত ৩৪ বছর ধরে ছদ্মবেশে বিভিন্ন স্থানে আত্মগেপান করেন তিনি। সম্প্রতি তিনি কাফরুল থানাধীন এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিতে তাকে আটক করে র‌্যাব। র‌্যাব-৪ এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, মাজহারুল গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই ঢাকায় চলে যান। প্রথম দিকে মুদি দোকান ও পরে ওষুধের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন তিনি। পরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ছোট খাটো ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন মাজহারুল। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here