আইড্রপ সংকটে মুক্তাগাছা চরম ভোগান্তিতে সাধারণ রোগীরা 

0
221
রিপন সারওয়ার :
ময়মনিংহের মুক্তাগাছায় দিন দিন বেড়েই চলছে  চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগীর সংখ্যা। আর এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে  ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।
মুক্তাগাছা ঈশ্বর গ্রাম এলাকার বাসিন্দা হারুন আল আজাদ জানান, আমি  রাত ১০ টার পর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  থেকে  বাড়ী ফিরে   চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ গুলো অনুভব করি,। রাতেই চোখের ড্রপ কিনতে মুক্তাগাছা শহরে আসি। যে চার পাঁচটা ফার্মেসী খোলা ছিলো তার প্রতিটাতেই  চোখের ড্রপের খোঁজ করেছি।  কোথাও পাইনি। সকালে মুক্তাগাছা  মহারাজা রোডের কয়েকটা দোকান ঘুরে  সরকার মেডিকেল হলে পেয়েছি। তবে চোখউঠা ঔষধের সংকট চলছে। হারুন আল আজাদের কথার সুত্র ধরে কথা বলি মুক্তাগাছা বড় মসজিদ রোডের ঔষধ ব্যবসায়ী জুয়েল ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী জন্জয় প্রসাদ গুপ্তের সাথে। তিনি জানান গত বছরের তুলনায় এবার  দ্বিগুণ হারে বেড়েছে কনজানটিডাইটিজ  চোখওঠার সংক্রমণ। এক সপ্তাহ ধরে আমার এখানে শতাধিক চোখওঠা রোগী এসেছে আইড্রপ নিতে।  সাপ্লাই না থাকায় দিতে পারিনি। ইতিমধ্যেই ১০ – ১২ টা কোম্পানির সাথে কথা বলেছি কোন লাভ হয়নী। অন্যদিকে মুক্তাগাছা মহারাজা রোড় বা ডিসফেন্সারী রোড ক্ষাত একাধিক দোকান খোঁজ নিয়ে কোথাও আইড্রপ এর সন্ধান মেলেনি।
তবে  নাম না  প্রকাশের শর্তে একজন ঔষধ ব্যবসায়ী বলেন, মুনাফা লোভীরা এটা নিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করছে বলে আমার ধারণা।
এব্যাপারে  স্কয়ার এবং এস কে এফ  ঔষধ  কোম্পানির এমপিও  মোঃ সুমন এবং মোঃ ফেরদৌস আলী, এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এটা কৃত্রিম সংকট কি না জানিনা।
মুক্তাগাছা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের  ইউ এইচ এন্ড  এফ পিও জান্নাতুল ফেরদৌস  দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে  বলেন,  এটা ভাইরাস জনিত রোগ।   আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসা নিলে এ রোগ সেরে উঠবে। অনেক সময় ঔষধ ছাড়াও সেরে যায়। তবে জটিল রূপ ধারণ করলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। চোখ ওঠা রোগীরা বাইরে গেলে অবশ্যই কালো চশমা পরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি আরো বলেন আমাদের হাসপাতালের ( মুক্তাগাছা উপজেলা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের)  আই ভিশনে সকল ধরনের চোখের সমস্যার  চিকিৎসা দেওয়া  হয়।  যা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাথে অনলাইনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এখানে বিনামূল্যে ঔষধ ও চশমা প্রদান করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here