রানা ইস্কান্দার রহমান:
নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে সরাসরি ভোট পর্যবেক্ষণ করেন সিইসিঅবশেষে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ব্যাপক অনিয়মসহ পুরো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ভোট বন্ধ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বুধবার বেলা সোয়া ২টার দিকে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি বলেন, ‘ব্যাপক অনিয়মের কারণে ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি সিসিটিভির মাধ্যমে। আপনারাও দেখছেন কী হচ্ছে। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দিচ্ছি।’
বুধবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর কেন্দ্র দখল, গোপন কক্ষে একজনের পরিবর্তে আরেকজন ভোট দেওয়া, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর ভোটারকে তাড়িয়ে দেওয়াসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগে ৪৪টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)। অবশেষে পুরো ভোটই বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন।
প্রথম সংবাদ সম্মেলনে সিইসি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন কমিশন। আমরা ভোটটাকে সত্যিকার অর্থে ভোট হিসেবে দেখতে চাই। কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, ওখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সঠিক জনমতের প্রতিফলন হবে না। সে কারণে আমরা ওই সেন্টারগুলোকে বাতিল করে দিয়েছি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১২ অক্টোবর-২০২২/ মওম