গাইবান্ধায় সিইসির শাস্তির দাবিতে ২য় দিনও বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

0
247
রানা ইস্কান্দার রহমান
গাইবান্ধায় সিইসির শাস্তির দাবিতে ২য় দিনও বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার প্রতিবাদে ও সিইসির শাস্তির দাবি জানিয়ে ফুলছড়িতে আজ বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে করা হয়েছে রাস্তা অবরোধ।
এদিন দুপুরে উপজেলা আ.লীগের নেতৃত্বে উপজেলা শহরের কালির বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও উপজেলা হেডকোর্য়াটারের রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা আ.লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাসহ নৌকা মার্কার হাজারো সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় নেতাকর্মীরা নির্বাচন কমিশনের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, এখানে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কোনো কর্মকর্তারা ভোটের কোনো অনিয়মের খবর না জানলেও ঢাকা থেকে নির্বাচন কমিশন ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট বন্ধ ঘোষণা করেছেন।
এসময় বক্তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, কাকে খুশি করতে কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অতি দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ থেকে সিইসির শাস্তির দাবি ও তার পদত্যাগের দাবিও জানান বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে গতকাল বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র দখল, অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়াসহ ভোটের সুষ্ঠ পরিবেশ না থাকার অভিযোগে সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে জাতীয়পার্টিসহ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এসব ঘটনায় একইদিন জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় ও রামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়সহ তিনটি ভোটকেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ৫১টি কেন্দ্রের ভোট একই অভিযোগে স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরে বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
পরে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ওই দিন বিকেল পাঁচটার দিকে সাঘাটা উপজেলা আ.লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ওই আসনের নৌকা সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন।
এসময় তার সঙ্গে জেলা ও উপজেলার আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্য়ায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনের ভোট বন্ধের সিদ্ধান্তের পরপরই ফুলছড়ি-সাঘাটার আ.লীগের নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
প্রসঙ্গত, এই আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২২ জুলাই মৃত্যুর পর ২৪ জুলাই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। নিয়ম অনুযায়ী কোনো আসন শূন্য ঘোষণা করা হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী ১২ অক্টোবর বুধবার এ আসনের ১৪৫টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণসহ ভোটের মাঠে সহিংসতা এড়াতে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরার আওতায় ছিল সবগুলো ভোটকেন্দ্রই। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছিলেন আ.লীগ মনোনীত মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here