১৫ অক্টোবর শনিবার সকালে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনসহ চিকিৎসক, নার্স এবং পুলিশ সদস্যরা।
আবু হেনা রনি আরও বলেন, ‘আমি যে দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম, সেখান থেকে পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীর দোয়ায় আজ অনেকটাই সুস্থ। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও সময় লাগবে। আজ ছুটি হয়ে যাচ্ছে। এখন বাসায় গিয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসায় থাকবো।‘

সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আবু হেনা রনি বলেন, ‘বেলুনটি যখন আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন আকাশে না উড়ে মঞ্চের পাশে এসে পড়ে। আমি ঠিক পাশেই ছিলাম। এসময় বেলুনগুলো নিচে নেমে আসায় যদি সুতা কেটে দেওয়া হতো তাহলে এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। সুতা না কেটে বেলুনে গ্যাস ভরা সেই ব্যক্তি গ্যাস লাইট জ্বালিয়ে দেয়। আর সাথেসাথেই বিস্ফোরণ হয়। আর তাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়, এজন্য অবশ্যই ওই ব্যক্তি দায়ী।’
চিকিৎসাধীন রনি এবং পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুরের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা যে একাগ্রতার সঙ্গে কাজ করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
রনিকে উদ্দেশ করে আইজিপি বলেন, ‘তিনি আজ সুস্থ হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পর তিনি আবারও মঞ্চে উঠে জনগণকে বিনোদন দেবেন। আবারও তার কৌতুকের মাধ্যমে জনগণ বিনোদিত হবেন।’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আবু হেনা রনি এবং পুলিশ কনস্টেবল জিল্লুরের চিকিৎসার জন্য সর্বাত্মক নিয়োজিত ছিলাম। এ ছাড়া বার্ন ইউনিটের অন্যান্য রোগী ছিলেন, তাদের চিকিৎসার জন্য আমরা সবসময় নিয়োজিত ছিলাম এবং আছি।’
তিনি বলেন, ‘বার্ন ইউনিটের এক চিকিৎসকের মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকার পরও তিনি শুধু নিজের পেশার দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তিনি চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন।’