নারী লোভী মাদ্রাসা সুপার ইমামুলের কুকর্ম ফাঁস 

0
304

পিসি দাস:

দিনাজপুর ফুলবাড়ীর খয়েরবাড়ি দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইমামুল হক দীর্ঘদিন যাবত মাদ্রাসায় বিভিন্ন অপকর্মের সহিত জড়িত। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে একাধিক অপকর্ম করে আসছে। তার ভয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা,চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা চাকুরীর ভয়ে কোনদিন মুখ খোলার সাহস দেখাননি। বিভিন্ন সময়ে তিনি মাদ্রাসার শিক্ষিকা এবং ছাত্রীদের সাথেও যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলেন।
এ বিষয়ে অনেকবার মাদ্রাসা সুপারকে নিয়ে বিচার সালিশ হয়। সে সময় তিনি সকলের হাত-পা ধরে মীমাংসা করে নেন। অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধান করে জানা যায়, সুপার ইমামুল হকের নারীর প্রতি দুর্বলতা অনেক পূর্ব থেকেই। বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন ভাবে নারীদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যায় বলে অডিও রেকর্ড ও ছবির মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়।
সর্বশেষ ওই মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীকে কু-প্রস্তাব দেয় সে। ওই চতুর্থ শ্রেণীর মহিলা কর্মচারী তার ডাকে সাড়া না দিলে ওই কর্মচারীর দুই মাসের বেতন বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি একাধিক শোকজ নোটিশ করে তার নামে। অসহায়,দরিদ্র ঐ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী দুই মাস ধরে বেতন না পাওয়ায় ছেলে- মেয়েদের নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে মর্মে এলাকাবাসী জানায়।
এ বিষয়ে খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হকের সাথে আলাপকালে জানা যায়,তিনি অনেক দিন ধরেই এই সমস্ত অপকর্মগুলো সকলের অগোচরে করে আসছে। দাখিল মাদ্রাসার ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি আমগাছ প্রায় লক্ষাধিক টাকায় বিক্রয় করে টাকাগুলো তার মাদ্রাসার ফান্ডে জমা না দিয়ে নিজেই পকেটস্থ করে। তিনি আরো বলেন,তিনজন কে চাকুরী দিবে মর্মে ২২লক্ষ টাকা বিভিন্ন অপকৌশলে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় এই সুপার।গত ১৬ই অক্টোবর মাদ্রাসার সকল শিক্ষক কর্মচারী ওই ভুক্তভোগী চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর পক্ষে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট সুপারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ অক্টোবর-২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here