এ,এম স্বপন জাহান
বাংলাদেশে আঘাত হানছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং। ইতিমধ্যে ১৩ জেলাতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে।ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে ঢাকা সহ সারা দেশে বৃষ্টি সহ দমকা হাওয়া বইছে। সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলাতেও সোমবার সকাল হতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি পাত সহ শীতল হাওয়া বইছে।সৃষ্ট এ ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে মধ্যনগর উপজেলার সব কয়টি ইউনিয়নের সাধারন জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অফিস আদালত, স্কুল, কলেজ সহ দৈনন্দিন কাজ ব্যহত হচ্ছে।সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলা হাওর অঞ্চল হওয়ায় এখানে হালকা বৃষ্টিপাতে রাস্তা ঘাট সহ এ অঞ্চলের দৈনন্দিন কাজে ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দঃ ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক টি মেরামতের কাজ শুরু হলেও এই ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্ধ রয়েছে নির্মাণের কাজ।স্কুল, কলেজ, হাট বাজার সহ খেটে খাওয়া দিন মজুরদের উপর এর প্রভাব পড়েছে বেশি।কৃষক, জেলেরা তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য বের হতে পারছে না ঘর থেকে।অনেকেরই সাথে কথা বলে জানা যায় সৃষ্ট ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাব কত দিন থাকবে তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছে।সুনামগঞ্জ জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য মতে মঙ্গলবার বার (২৫ অক্টোবর) পর্যন্ত মাঝারি ও ভারি বৃষ্টিপাত সহ ধমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরা, খুলনা,বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, বরিশাল,লক্ষী পুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী,চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের অদূরবর্তী দীপ গুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট বেশি উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানা যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে তথ্য অনুযায়ী।
দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান জানিয়েছেন উপকূলীয় জেলা গুলোর মধ্যে বরগুনা ও পটুয়াখালীতে ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং-এর বেশি প্রভাব পরবে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
