সমাবেশে আমাদের আশার সঞ্চার হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

0
206

আলোকিত ডেস্ক:

বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

৫ নভেম্বর শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বরিশালে বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশ হয়েছে। বিএনপির কোনো নেতাকর্মী বিশৃঙ্খলা করেননি। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ। আমাদের মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, প্রকৌশলী রিজু, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতার গাড়িতে আক্রমণ ও ভাঙচুর করেছে। রিজভী বলেন, এই সরকার গুন্ডাদের সরকার, সন্ত্রাসীদের সরকার, মাফিয়াদের সরকার। সন্ত্রাসীদের দিয়ে দল করছে বলেই কুমিল্লায় ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ রক্তাক্ত মারামারি করেছে। যে কারণে পুলিশ টিয়ারশেল ছুড়তে বাধ্য হয়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।

রিজভীর নেতৃত্বে মিছিলে দলের স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় নেতা তারিকুল আলম তেনজিং, মৎস্যজীবী দলের মো. আব্দুর রহিম, কামাল উদ্দিন চৌধুরী টিটো, যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন, খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নাজমুল হাসান, অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, ডা. জাহেদুল কবির, ছাত্রদলের সাবেক নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, যুব জাগপার সভাপতি আমির হোসেন আমুসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ আমাদের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। যেই সমাবেশগুলো হলো সেগুলো থেকে আমাদের মাঝে একটা বড় ধরনের আশার সঞ্চার হয়েছে। আমরা অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছি সমাবেশগুলো থেকে। ৬ নভেম্বর রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘যুগপৎ আন্দোলন ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। এখন গায়েবি মামলা চলছে। এ আন্দোলনকে কীভাবে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া যায় সে কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। তিনি বলেন, জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে, তারা এখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। মামলা করে অতীতেও লাভ হয়নি, এখনও হবে না। ১৫ বছর ধরেই তো এগুলো করেছেন। কই, বিএনপিকে তো দলিত করে দিতে পারেননি। স্থবির করে দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, আমরা আশা করি তারা (আওয়ামী লীগ) পুরোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের চোখের ভাষাটা বুঝতে পারবে। সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাস করে দেখেন তারা কেমন আছে?

জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনই বিএনপির লক্ষ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মন্ত্রী বানাতে হবে না। আমাদের ক্ষমতা দিয়েন না, কিন্তু পরিবর্তনটা আনুন।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ডিসেম্বর আসতে আসতে আওয়ামী লীগ যে ঘোষণা দিয়েছে সেই ঘোষণায় সারা ঢাকায় তারা একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাইবে। তারা বলছে ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন করবো।  সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারাও বক্তব্য দেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ নভেম্বর-২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here