ক্রীড়া ডেস্ক:
দুই দল যখন টিম হোটেল থেকে মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা হয়, হয়তো তখনো জানত না এ ম্যাচের তাৎপর্যটা।
নেদারল্যান্ডস এরপর জন্ম দিল বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম বড় অঘটন। ডাচদের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার হারে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে প্রায় ছিটকে পড়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের ম্যাচটিই কার্যত পরিণত হলো কোয়ার্টার ফাইনালে জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। তবে গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার মতো ইনিংসের পরের ভাগে পথ হারিয়েছে তারা।
এরপরও ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত বাংলাদেশের জন্য। এর আগে ব্যাটিংয়ে নাগালের মধ্যে থাকা ১৫-২০ রান বেশি হলে হয়তো ভিন্ন কিছু হতে পারত। সেটি হলো না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ইশারা দিয়েই চলে গেল বাংলাদেশের কাছ থেকে।
বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের জুটিতে ৫৭ রান উঠলেও দুজন মিলে খেলেছিলেন ৬৩ রান। বাংলাদেশকে ছিটকে দিয়েছেন মূলত মোহাম্মদ হারিস। ১৮ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলার পথে নেওয়াজের সঙ্গে ২০ বলে ৩১ রানের পর শান মাসুদের সঙ্গে ১৪ বলে ২৯ রানের জুটি গড়েন হারিস।
পাকিস্তান জয় পেয়েছে ১১ বল বাকি থাকতে, ৫ উইকেটে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ নভেম্বর-২০২২/ মওম