আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮০০ কোটিতে। এমন পূর্বাভাস চলতি বছর ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ উপলক্ষে পাঁচ মাস আগেই দিয়েছিল জাতিসংঘ। ১১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছিল, ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ২০২৩ সালের মধ্যেই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসাবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। আর যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী ২০৮০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হতে পারে ১ হাজার ৪০ কোটি।
সেই তথ্য স্মরণ করিয়ে দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বর এই মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছি আমরা। এরই মধ্যে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, গ্রহ হিসেবে পৃথিবীতে ৮০০ কোটি জনসংখ্যা কি খুব বেশি? অবশ্য অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ বলছেন, জনসংখ্যা সমস্যার চেয়ে পৃথিবীর ধনী বাসিন্দাদের অতিমাত্রায় সম্পদ ভোগই হচ্ছে বড় সমস্যা।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের প্রধান নাটালিয়া কানেম বলেন, ৮০০ কোটি মানুষ মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এ জন্য গড় আয়ু বৃদ্ধি এবং মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমে আসার প্রশংসা করেছেন তিনি। যদিও এই মুহূর্তটি সবাই উদযাপন না-ও করতে পারে,‘বিশ্বে অতিরিক্ত জনসংখ্যা বলে কেউ কেউ উদ্বিগ্ন। আমি এখানে বলতে চাই, মানবজীবনের নিছক এই সংখ্যা কোনও ভয়ের কারণ নয়।’
রকফেলার ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরি অব পপুলেশনসের জোয়েল কোহেন বলেন, ‘কাদের জন্য অনেক বেশি? কিসের জন্য অনেক বেশি? আপনি যদি আমাকে এ প্রশ্ন করেন, আমি কি বোঝা হয়ে গেলাম, আমি তেমনটা মনে করি না।’
জোয়েল কোহেন আরও বলেন, ‘পৃথিবী কত মানুষের ভার নিতে পারে, এমন প্রশ্নের দুটি দিক থাকে— প্রাকৃতিক সীমাবদ্ধতা ও আমাদের পছন্দ। আমাদের পছন্দের পরিণতি হলো— এই গ্রহ প্রতিবছর যে পরিমাণ পুনরুৎপাদন করতে পারে, এর চেয়ে মানবজাতির অনেক বেশি জৈবিক সম্পদ ভোগ যেমন বন, ভূমি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যধিক ব্যবহার আরও বেশি কার্বন ডাই–অক্সাইড নির্গমনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আমাদের দূরদর্শিতার অভাব ছিল, আমরা লোভী। আমরা আমাদের কাছে থাকা তথ্য ব্যবহার করি না। এখানেই পছন্দ এবং সমস্যা নিহিত।’
খবর এএফপি