মো: মহিদ
সুদ ও কিস্তির টাকা পরিশোধ না করতে পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে মানিকগঞ্জের বাবুল হোসেন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। ঋণের তাগাদা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন এমন অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি নিশ্চিত করে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বুধবার মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নের মুন্সিচর গ্রামে। বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মুন্সিচর গ্রামের দুদু ব্যাপারীর ছেলে বাবুল হোসেন বিভিন্ন এনজিও থেকে ৯ লাখ টাকা এবং সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ঋন নেয়। প্রতিদিন এনজিওর কিস্তির টাকার তাগাদা ও সুদ কারবারীদের তাগাদা সইতে না পেরে গত সোমবার বিষপান করে। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাটুরিয়া হাসপাতালে নিলে তাকে মানিকগঞ্জ কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে সমবারই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যায় বাবুল হোসেন। বাবুলের পুত্র মো. রেজাউল করিম জানায়, আমার বাবা মুন্সিচর জগা মার্কেটে মুরগীর ব্যবসা করত। তিনি বিভিন্ন ঋণদান সংস্থা থেকে ৯ লাখ টাকা ঋণ নেয়। তাছাড়া স্থানীয় গ্রামের সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আরো ৫ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। মোট ১৪ লক্ষ টাকা ঋণের তাগাদা সইতে না পেরে আমার বাবা আত্মহত্যা করে। সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস বলেন, বাবুল হোসেন ঋণে জর্জিত ছিল। সে বিভিন্ন এনজিও সুদ ব্যবাসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সুদ করে আনেন। ওই টাকার তাগাদা সইতে না পেরে বিষপান করে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছি। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে সঠিক তথ্য পাব বলেও জানান পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ নভেম্বর-২০২২/ মওম
