আবু সায়েম:
কক্সবাজারে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় উন্মুক্ত পর্যায়ে উদ্ভাবনী আইডিয়া ও প্রজেক্ট প্রদর্শনে ২য় স্থানে পুরস্কার পেলো জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
১৯ নভেম্বর শনিবার কক্সবাজার শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আবুল মনজুরসহ তাঁর প্রতিনিধির নিকট ক্রেস্ট এবং সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ।
এদিকে কক্সবাজারে দুই দিনের ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা ১৯ নভেম্বর শনিবার বিকালে শহরের শহীদ দৌলত ময়দানে সম্পন্ন হয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করেছে জেলা প্রশাসন। মাধ্যমিক পর্যায়ে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার মডেল হাই স্কুল, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, কক্সবাজার বিয়াম স্কুল এন্ড কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ। প্রজেক্ট মূল্যায়নে প্রথম হয়েছে স্মার্ট কক্সবুথ।
উন্মুক্ত পর্যায়ে উদ্ভাবনী আইডিয়া / প্রজেক্ট প্রদর্শনে অবদান রাখায় ওয়েবভিত্তিক এ্যাপে ২য় স্থান অর্জন করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর( এলজিইডি) তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
স্টলের মধ্যে সেবা বিবেচনায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দ্বিতীয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তৃতীয় হয়েছে।বিশেষ ক্যাটাগরিতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রথম এবং ফ্রিল্যান্সার দ্বিতীয় পুরস্কৃত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষন কান্তি দাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কবির হোসেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল ইসলাম, প্রবীন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সোমেশ্বর চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রযুক্তিবান্ধব নানা উদ্ভাবন ও সেবা তৈরির মাধ্যমে ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশকে টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তিবান্ধব নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে আরো সহজ, সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট করে গড়ে তুলতে সারাদেশের উদ্ভাবকদের উদ্ভাবনী সক্ষমতা দেশের প্রয়োজনে কাজে লাগাতে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা আয়োজন করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ নভেম্বর-২০২২/ মওম