আলোকিত ডেস্ক:
সরকার অনুমতি দিক বা না দিক, সংঘাত এড়িয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই বিএনপি গণসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
ঢাকা জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এসময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপকি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নতুন কমিটির সহ-সভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম বিল্টু, যুগ্ম মহাসচিব শামছুল ইসলাম ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ।
১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ কোথায় হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদিকদের গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আমরা অনুমতি চেয়েছি। সেখানেই আমরা সমাবেশ করবো। তারা (সরকার) যদি অপারগ হয় তাহলেও করবো। অনুমতি দিলেও করবো, না দিলেও করবো। অনুমতির অপেক্ষা করবো না। মনে রাখতে হবে, এ দেশটা আমাদের সবার।আওয়ামী লীগ বলছে, প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে তারা পাহারা দেবে, সেক্ষেত্রে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা এরই মধ্যে সাতটি গণসমাবেশ করেছি। আওয়ামী লীগ বলবে কেন, সব জায়গায় তারা সংঘাত সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, যানবাহন বন্ধ করে চেষ্টা করেছে। তারা তো কোনো পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোনো পথ খোলাও রাখেনি। সুতরাং ঢাকার গণসমাবেশেও তারা এটা করবে, আমরা সরকারের ফাঁদে পা দেবো না। আমরা সংঘাত এড়িয়েই গণসমাবেশে আসবো।
ঢাকার গণসমাবেশ থেকে সরকার পতনের কোনো ঘোষণা আসবে কি না- জানতে চাইলে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখনো ১০ ডিসেম্বর অনেক দূর। আপনারা ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশে আসবেন। ১০ ডিসেম্বরের কথা ১০ ডিসেম্বরই বলবো। আগাম কোনো কথা কেউ বলবে না, আমিও বলবো না। আমরা ১০ ডিসেম্বর অবশ্যই পরবর্তী কর্মসূচি দেবো। সরকার ১০ ডিসেম্বরের আগে যদি জনগণের দাবি মেনে নেয় সেটা তো অন্যরকম।
উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন, ভোটাধিকার ও আইনের শাসনের বিশ্বাস করতেন। আমরা দেখছি, দেশে বর্তমানে এসব কিছুই নেই। বিচারের নামে আমরা অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছি।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, চলমান আন্দোলনকে আরও গতিশীল করতে সাধারণ জনগণ যেভাবে সম্পৃক্ত হয়েছে, জনগণের আরও অংশগ্রহণে ভোটাধিকার অর্থাৎ জনগণই দেশের মালিক- এটা প্রতিষ্ঠাই একমাত্র লক্ষ্য।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৪ নভেম্বর-২০২২/ মওম