আলােকিত ডেস্ক:
বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচটি জেলা নিয়ে ‘পদ্মা’ এবং বৃহত্তর কুমিল্লার তিনটি এবং নোয়াখালীর তিনটি করে মোট ছয়টি জেলা নিয়ে ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্বে ২৭ নভেম্বর রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস-সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উঠলে তা অনুমোদন পায়নি। আইন, বিচার এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির কারণে পদ্মা এবং মেঘনা নামে নতুন দুই বিভাগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে। নিকার প্রস্তাবটি অনুমোদন দেয়নি। সভায় বাকি এজেন্ডাগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২ জুন নিকার বৈঠকের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে ছিলো ‘পদ্মা’ ও ‘মেঘনা’ বিভাগ গঠনের প্রস্তাব। কিন্তু, পরে সেই বৈঠক স্থগিত হয়। ২১ অক্টোবর ও ৭ ডিসেম্বর ‘মেঘনা’ নদীর নামে কুমিল্লা এবং ‘পদ্মা’ নদীর নামে ফরিদপুর বিভাগ হবে বলে ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ‘ফরিদপুর’ এবং ‘কুমিল্লা’ নামে বিভাগ গঠনের দাবি রয়েছে।
গত বছরের ২১ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভাগের বিষয়ে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুটি নদীর নামে দুটি বিভাগ বানাবো। একটা পদ্মা অন্যটা মেঘনা। এ সময় কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার দাবি জানান কুমিল্লা নামে বিভাগ দেওয়ার। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এর বিরোধিতা করেন।
শেষে দেশের দুই প্রধান নদীর নামে নতুন দুই বিভাগের এমন নাম নির্ধারণ করে প্রস্তাব চূড়ান্ত করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে তা এখন স্থগিত হলো।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৭ নভেম্বর-২০২২/ মওম