আলোকিত ডেস্ক:
বিশ্বের শান্তি মিশনে বাংলাদেশের নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতিসংঘের পরিচালিত বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান এবং পুলিশ বাহিনীর নারী সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। তাদের বিশেষ ভূমিকা বাংলাদেশের ভার্বমূতি সারা বিশ্বে উজ্জ্বল করছে। বাংলাদেশের মানুষ আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়ে গর্বিত।’ শান্তিরক্ষায় নারীরা অনবদ্য ভূমিকা রাখায় তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
২৮ নভেম্বর সোমবার সকালে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি (ডব্লিউপিএস) সেমিনার-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লে. জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ .কে আব্দুল মোমেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এসময় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দয়া করে আপনারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামান। বিশ্বের যে কোনও দেশের সঙ্গে অন্য দেশের সংঘাত সৃষ্টি হলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব, তা যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। আমরা কোনও যুদ্ধ চাই না। কোন মানুষ বাস্তুচ্যুত হোক, তা আমরা দেখতে চাই না। ’
ক্ষমতায়ন না হলে সমাজে নারীর অবস্থার উন্নতি হতো না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার সরকার নারী নীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। নীতির অধীনে, আমরা মূলধারার আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সার্বিক উন্নয়ন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং তাদের ক্ষমতায়নের সমস্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, ব্যবসা, খেলাধুলা, সশস্ত্র বাহিনী ইত্যাদি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ ও অবদান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে।’ ‘দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে লিঙ্গ সমতায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৮ নভেম্বর-২০২২/ মওম