তিন যমজ সন্তান পেয়ে খুশিতে আত্মহারা পরিবারটি এখন বিপাকে

0
230
প্রতিনিধি,গাইবান্ধা: 
গাইবান্ধা  সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ সুমি বেগম (২৫)। দুই মাস আগে একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছে ৩ কন্যাশিশু। এখন এসব শিশুদের চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য যোগাতে দুশ্চিন্তায় ভুগছে পরিবারটি। ২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ওই গ্রামে দেখা মেলে প্রসূতি সুমি বেগম ও তার স্বামী মুন্না মিয়া শিশুদের নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অতিদরিদ্র মুন্না মিয়া একটি বাঁধের ওপর কোনমতে বসবাস করে আসছে। পেশায় একজন দিনমজুর। দিন আনে দিন খায়। একদিন শ্রম বিক্রি না করলে পেটে ভাত জোটে না তাদের। এরই মধ্যে দুই মাস আগে একটি হাসাপাতালে তার স্ত্রী সুমি বেগম একই সঙ্গে তিনটি কন্যশিশুর জন্ম দেয়। বর্তমানে এই প্রসূতি ও তার যমজ শিশুরা সুস্থ রয়েছে। তবে অর্থাভাবে চাহিদা মোতাবেক পুষ্টিখাদ্য ও ভালো চিকিৎসাসেবা করাতে পারছে না। এ নিয়ে থমকে গেছে পরিবারটি।
যমজ শিশুটির বাবা মুন্না মিয়া জানান, একদিন কাজে না গেলে পরিবারের সদস্যকে না খেয়ে থাকতে হয়। তারপরও স্ত্রীর কোলজুড়ে তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এতে পরিবার খুশি। তবে ভূমিষ্ট তিন কন্যা শিশুর খাবারের চাহিদা মেটাতে গিয়ে তাকে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে কি করবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ছেন তিনি।
প্রসূতি সুমি বেগম বলেন, একটি হাসপাতালে নরমালে আমার তিন সন্তানের জন্ম হয়। আমিও আমার স্বামী খুশি হলেও এখন শিশুদের খাদ্য যোগাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।   এব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, এই পরিবারটির জায়গা জমি না থাকায় বর্তমানে সরকারী বাঁধের সাথে একটি ঘর তুলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। পরিবারটি ওই শিশুদের কীভাবে লালন-পালন করবে সেটি চিন্তার বিষয়।
গিদারী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ইদু মিয়া বলেন, আমি বিষয়টি অবগত আছি। পরিবারটির খোঁজ-খবর রাখছি। সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেলে আগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ নভেম্বর-২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here