আব্দুল সাত্তার টিটু:
রাঙ্গুনিয়ায় ১২ বছরের নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ পূর্বক ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোরশের্দকে নগরীর পাঁচলাইশ এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
২৯ নভেম্বর মঙ্গলবার নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ঘাগড়া খিলমোগল এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিডিয়া মোঃ নুরুল আবছার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
র্যাব জানান,ভিকটিম ১২ বছর বয়সী ৫ম শ্রেণীতে পড়ুয়া আসামী মোঃ মোরশেদ (২৫) বিভিন্ন সময়ে ভিকটিমকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব এবং অশালিন কথা বলে বিরক্ত করত। ভিকটিম বিষয়টি তার মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে জানায়। ভিকটিমের পরিবার তার মেয়েকে বিরক্ত না করার জন্য মোঃ মোরশেদ’কে অনুরোধ করেন। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন লোক-লজ্জার ভয়ে উক্ত বিষয়ে আর কোন ওজর আপত্তি কিংবা স্থানীয় সালিশ বিচার না করে তার মেয়েকে নিজ দায়িত্বে স্কুলে যাওয়া আসা করাত। গত ২০ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকায় ভিকটিম স্কুলে যাওয়ার জন্য বাড়ী হতে বের হয়ে সময় মত ফিরে না আসায় ভিকটিমের পরিবারের লোকজন আশ-পাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরদিন ভিকটিমের বাবা রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় নিখোঁজ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি অব্যহত রাখেন।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারেন যে, গত ২০ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১১:৩০ ঘটিকার সময় স্কুলে যাওয়ায় পথে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা মোঃ মোরশেদ (২৫) ও শোয়াইব (১৯) নামের দুইজন ব্যক্তি পরস্পর যোগসাজসে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন ও ফুসলাইয়া একটি সিএনজিতে তুলে কৌশলে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার তাদের কোন এক পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারে যে, অপহরণকারীরা তার মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজার জেলার রামু থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের মাধ্যমে গত ২৪ নভেম্বর ২০২২খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০২০০ ঘটিকার দিকে কক্সবাজার জেলার রামু থানাধীন চৌমুহুনি এলাকার একটি ভাড়া বাসা হতে ভিকটিমের পরিবার তাদের অপরাপর আত্মীয়ার সহযোগীতায় অপহরণকৃত মেয়েকে নিজ হেফাজতে নেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া থানায় উল্লেখিত দুইজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম বাদীর আবেদন এবং উক্ত মামলাটি রুজু হওয়ার পর থেকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সহিত আমলে নিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩০ নভেম্বর-২০২২/ মওম