আজ শনিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।   ২ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এসকেএস ফাউণ্ডেশন তার উন্নয়ন যাত্রার বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী 

-Advertisement-

আরো খবর

রানা ইস্কান্দার রহমান
এসকেএস ফাউণ্ডেশন তার উন্নয়ন যাত্রার বিশেষ তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরার মধ্য দিয়ে ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এই উপলক্ষে আজ এসকেএস ফাউণ্ডেশনের প্রধান কার্যালয় গাইবান্ধায় একটি বিশেষ স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে এসকেএস ফাউণ্ডেশনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন এসকেএস- এর ঢাকা অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে এসকেএস ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান- রাসেল আহম্মেদ লিটন বলেন, নিপীড়িত মানুষকে নিপীড়কের হাত থেকে রক্ষা করতেই এসকেএস ফাউণ্ডেশনের জন্ম হয়েছিল। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। হয়তো সেই যুদ্ধের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তিত যুদ্ধের সাথে টিকে থেকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের নিজেদেরকে সর্বদা একত্রিত থাকতে হবে, আমাদের প্রতিবেশিকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং সর্বোপরি দেশের অগ্রাধিকারগুলো বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হবে। এসকেএস ফাউণ্ডেশন একটি উন্নয়ন অংশীদার। এসকেএস-এর উদ্দেশ্য একটাই দেশের উন্নয়নে অবদান রাখা। আর আমাদের সকলের সম্মিলিত অবদানে দেশ পিছিয়ে থাকবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সামনে এগিয়ে যাবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বহির্বিশ্বে উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নয়নের জন্য দরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টি। তাই এসকেএস ফাউণ্ডেশন কর্মসংস্থান সৃষ্টির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এসকেএস তার অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতে অন্ততঃ ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্তানের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসকেএস ফাউণ্ডেশন তার সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়, প্রাতিষ্ঠানিক শক্তিই এসকেএস-এর মূল চালিকাশক্তি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক মনোভাব ধারন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে যেমন কাজ করতে হবে, যেকোন বিষয় প্রচার ও পরিবেশনের ক্ষেত্রেও হতে হবে ইতিবাচক।
এসকেএস ফাউণ্ডেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মীগণও এসকেএস- এর এই দীর্ঘ চলার পথের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তাঁদের স্মৃতিচারণমূলক আলোচনায়। তাঁরা এস কে এস- এর যাত্রা শুরুর কথা যেমন স্মরণ করেন, তেমনি তুলে ধরেন সংস্থার পরিচালনা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়। এসকেএস ফাউণ্ডেশন এ যাবত বাংলাদেশের ৬টি বিভাগের ২৬টি জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের কাছে পৌছাতে সক্ষম হয়েছে। প্রান্তিক মানুষের অধিকার, জীবন ও জীবিকা উন্নয়নে সফলতার সাথে কাজ করছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে আগামীতেও বিস্তৃত করতে চায় তার কর্ম এলাকা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসাবে কেক কাটেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী প্রধান রাসেল আহম্মেদ লিটন।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি
- Advertisement -
- Advertisement -