অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, সন্দেহ ভাজন ৩জন আটক

0
305

ফারুক আহমেদ:

দিনাজপুরের খানসামায় খামারপাড়া ইউনিয়নের কায়েমপুর গ্রামের ডাক্টারপাড়ায় প্রথম শ্রেণীর ছাত্রকে অপহরন করে মুক্তিপণ দাবি করেন অপহরণকারী।

অপহৃত আরিফুজ্জামান (৮) হলেন ওই এলাকার আতিউর রহমানের ছোট ছেলে। গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। অপহৃত যুবকের বাবার কাছে মোবাইলে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।

অপহৃত আরিফুজ্জামানের বাবা আতিউর বলেন, আমরা বাপ ছেলে সকালে রসুন রোপন করতে জমিতে যাই। মাঠে কাজ শেষে দুপুর বেলা নদীতে চারজন ছেলের সঙ্গে আমার ছেলে গোসল করতে যায়। সে সময় শ্যাম্পু ভাগাভাগি নিয়ে নানান রকম ঠাট্টা-মশকারি করে। গোসল শেষে জুম্মার নামাজ পড়তে যায়, নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে সে খেলাধুলা করতে বাইরে যায়। খেলাধুলা করে বাসায় না ফেরায় আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করি, এলাকার অনেককেই জিজ্ঞেস করলে, তারা বলে আমরা অনেক আগেই দেখেছি আর দেখি নাই। আমাদের টেনশন বাড়তে থাকে। কোথায় খুঁজে না পাওয়ায়, আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নেই কিন্তু সেখানেও মেলেনি আমার সন্তান।

আমরা খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখি ঠিক সে সময় সন্ধ্যা ৭টায় আমার ফোনে একটি ফোন আসে, ফোনে আমাকে বলে আপনার ছেলেকে আমি কিডন্যাপ করেছি। আপনার ছেলেকে যদি আপনি পেতে চান তাহলে কাল সকালে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে ১ লক্ষ টাকা নিয়ে আসবেন। টাকা নিয়ে আসলেই আপনার ছেলেকে আপনি পেয়ে যাবেন। এরপরই আমি সেই ফোন নাম্বারটি নিয়ে খানসামা থানা পুলিশের কাছে যাই এবং সেখানে একটি অভিযোগ করি। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই বিষয়টি তদন্তের জন্য আমার বাড়িতে পুলিশ আসে এবং নানান রকম তদন্ত করেন। এরই মধ্যে কিছুক্ষণ পর রাত ৯ টায় আবার আমার ফোনে ওই নাম্বার থেকে ফোন আসে, কোনরকম কথাবার্তা ছাড়াই ফোনটি কেঁটে যায়।

তিনি আরো বলেন,আমি নিজেকে খুব অসহায়ত্ব বোধ করছি, আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আমার ছেলে যেন উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন ওই এলাকা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করেন। তারা হলেন, একই এলাকার মালেকের ছেলে সরিফুল (২৪), গফুরউদ্দীন শাহ্পাড়ার ওবাইদুরের ছেলে সামিম (২২), ওই এলাকার রিয়াজুলের ছেলে সাহিনুর (২৫)।

এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বীরগঞ্জ সার্কেল) খোদাদাদ সুমন বলেন, আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে, আমরা খুব শীঘ্রই প্রকৃত আসামীকে ধরব।

আলোকিত প্রতিদিন/ ০৪ ডিসেম্বর– ২০২২/ মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here