উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

0
352
আবু সায়েম, কক্সবাজারঃ
কক্সবাজার  সদর উপজেলা প্রশাসন ও কক্সবাজার দক্ষিণ  বনবিভাগের যৌথ অভিযান চালিয়ে  বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে নির্মিত স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ জাকারিয়া’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কক্সবাজার সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি  সমির রঞ্জন সাহা’র নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা  হয়। বনবিভাগ সূত্রে জানা যায় ,অভিযানের পূর্বে লিংকরোড বিটের বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন তার স্টাফ ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে বনভূমিতে অবৈধভাবে নির্মিত স্হাপনা পরিদর্শনে গেলে ঐ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক দলবলে লাঠিসোটা নিয়ে বনকর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে ৪ জন বনকর্মীকে গুরুতর আহত করে।আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে বনবিভাগ সদর উপজেলা  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর মডেল থানা পুলিশ ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে স্হাপনা গুলো জবরদখল মুক্ত করা হয়। বনবিভাগের কর্মীদের  উপর হামলাকারীরা হলেন,আবু বক্কর সিদ্দীক প্রকাশ রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভার, তার ছেলে কিশোর গ্যাং লিডার এনামুল হক,মেয়ে ইয়াছমিন আক্তার,আবু বক্কর সিদ্দীক প্রকাশ রোহিঙ্গা ইউসুফ ড্রাইভারের স্ত্রী জুহুরা বেগম তার বোন জোহারা বেগম সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন। লিংকরোড বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন বলেন,আমি যখন আমার স্টাফ ও সি পি জি সদস্যদের নিয়ে বনভূমি দখলের বিষয়ে  ঘটনাস্থলে গেলে ৭/৮ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে আমার সিপিজি সদস্যদের উপর হামলা করে।আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় ।পরে আমার  ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষের তড়িৎ সিদ্ধান্তে  সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কক্সবাজার সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা ও স্পেশাল টিমের ওসি  সমির রঞ্জন সাহা বলেন,বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছ,নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে   লিংকরোড বিট কর্মকর্তা বিটের স্টাফদের নিয়ে টহলে গেলে বনভূমি জবরদখলকারীরা তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে।আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন,জেপি দেওয়ান বলেন, বনবিভাগকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করা হয়।জড়িতদের  বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বনবিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। অভিযানে লিংকরোড বিট কর্মকর্তা মোঃ সোহেল হোসেন,  হিমছড়ি বিট কর্মকর্তা কামরুজ্জমান সুভন,ঝিলংজা বিট কর্মকর্তা আব্দুস সালাম,চেইন্দা বিট কর্মকর্তা ফছিউল আলম শুভ এবং বিটের স্টাফ সহ সিপিজি সদস্যারা অংশগ্রহণ করেন। কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ সারওয়ার আলম বলেন, সরকারি বনভূমি উদ্ধারে বনবিভাগ সচেষ্ট রয়েছে।  সরকারি জমিতে কেউ স্থাপনা নির্মাণ  করলে উচ্ছেদ করা হবে এবং জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বনভূমি রক্ষার্থে যথাযথ ভূমিকা পালন করবো। অভিযান চালিয়ে ভূমি জবরদখল এবং পাহাড়খেকোদের আইনের আওতায় আনা হবে। বন অপরাধ দমনে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here