ক্রীড়া ডেস্ক:
বাংলাদেশ-ভারত ড্রেসিংরুম এখন হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। দুই দলেরই বেশ কিছু ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়েছেন। ঢাকায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আঙুলে চোট পাওয়া ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা চট্টগ্রাম টেস্ট থেকেই ছিটকে গেছেন। একই ভাগ্য বরণ করতে হয়েছে মোহাম্মদ সামি এবং রবীন্দ্র জাদেজাকেও। বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালও প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন। পিঠের ইনজুরিতে ছন্দে নেই তাসকিন। নতুন করে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট শুরুর আগের দিন সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। আজ বিকালে স্ক্যান রিপোর্ট আসলেই টেস্ট অধিনায়ক খেলবেন কিনা, সেটা বলা যবে ।
মঙ্গলবার সকালে পুরো দল যখন অনুশীলনে সাকিব তখন গেছে হাসপাতালে। ওয়ানডে সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচে তার পিঠে বল লেগেছিল। এরপর এক্স-রেতে কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। কিন্তু পেশিতে কোনও সমস্যা আছে কি না সেটি জানতেই নতুন করে স্ক্যান করতে হয়েছে। এদিন সবার আগে সাকিব মাঠে এসেছিলেন। কোনও ব্যাটিং-বোলিং করেননি। বিসিবি চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীকে নিয়ে চলে গেছেন হাসপাতালে। যদিও কিছুক্ষণ পর মাঠে ফিরে এসেছেন। পুরো দলের অনুশীলন শেষে ২০ মিনিটের মতো ব্যাটিংও করেছেন। এই সময় তার ব্যাটিংয়ে কোনও ধরনের অস্বস্তি ধরা পড়েনি।
সাকিবের ইনজুরির অবস্থা নিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘সাকিবকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সে ব্যাটিং করেছে। রিপোর্ট আসার পর সিদ্ধান্ত নেবো।’ সোমবারও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাকিব বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে এসেছিলেন। তবে ব্যাটিং-বোলিং করেননি। ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেই হোটেলে ফিরে গেছেন।
প্রসঙ্গত, সাকিব গত ৭ ডিসেম্বর মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতীয় পেসার উমরান মালিকের বাউন্সারে পিঠে আঘাত পান। চোটের জায়গায় কালো দাগ পড়ে গেছে।