নিজস্ব প্রতিবেদক:
শান্তিরক্ষীদের ওপর আক্রমণের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সমাজের সকল অংশীদারদের নতুন নতুন প্রচেষ্টা এবং উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত ও সুরক্ষার লক্ষ্যে গঠিত গ্রুপ অব ফ্রেন্ডসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদত্ত বক্তব্যে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি আব্দুল মুহিত। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন গঠিত এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস-এর কো-চেয়ার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, ভারত, মরক্কো এবং নেপাল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য প্রদান করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর। বাংলাদেশসহ অন্য পাঁচটি সহ-সভাপতি দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা স্ব স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘের পিস অপারেশন বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়েরে ল্যাক্রুয়া এবং অপারেশনাল সাপোর্ট বিভাগের প্রতিনিধি। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত করার বিষয়টিকে একটি বহুঅংশীদারত্ব ভিত্তিক প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রদত্ত বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে সৃষ্ট অপরাধের জবাবদিহি নিশ্চিত এবং সুরক্ষার লক্ষ্যে তিনি স্বাগতিক দেশের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা, ঘটনার দ্রুত তদন্ত, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বাগতিক দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল প্রযুক্তির বাস্তবায়ন ও ভুল এবং বিকৃত তথ্যের প্রচার বন্ধ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।নবসৃষ্ট এই গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস যেসকল কাজ করবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- স্বাগতিক দেশকে সহযোগিতা প্রদান, মানুষের মধ্যে সচেতনতাবোধ তৈরি, সঠিক তথ্যের আদান-প্রদান, সর্বোত্তম অনুশীলন ও সম্পদ ভাগাভাগি এবং সহযোগিতামূলক উদ্যোগ গ্রহণ। উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে ৩৬টি দেশ গ্রুপটিতে যোগদান করে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৭ ডিসেম্বর– ২০২২/মওম