ইমরান নাজির
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় একই রাতে তিন বাড়িতে ঘরের তালা, দরজা-জানালা ভেঙ্গে জোরপূর্বক টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার দুবৃত্তদের ব্যবহৃত মেডিসিনে একই পরিবারের পাঁচ সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। রবিবার দিবাগত রাতে শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে। চুরি-ডাকাতি রোধে স্থানীয় প্রশাসন এলাকাবাসীকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যে সকল বাড়িতে লুট হয়েছে, সে সকল বাড়ির টিউবওয়েলের ভিতর ও খাবারের সাথে চেতনা নাশক কোন ওষুধ মিশিয়ে রেখেছিল বলে ধারনা করছে ভূক্তভোগীরা। এতে বাড়ির লোকজন অসুস্থ্য ও অচেত হয়ে পড়ার সুযোগে দুর্বত্তরা ঘরের তালা, দরজা-জানালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে ন্যায় বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা। কৃঞ্চপুর গ্রামের আ: বাতেনের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা জানান, গতকাল দুপুর থেকেই হটাৎ করে আমার ও মেয়ের প্রচন্ড মাথা ঘুরাচ্ছিলো। মাথা ঘুরানোর কারণটি ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। প্রচন্ড ঘুমে কাতর হয়ে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। গভীর রাতে তিনজন দূর্বৃত্ত বড় হাতে ঘরে প্রবেশ করে সবাইকে জিম্মি করে নগদ ২০ হাজার টাকাসহ সাড়ে ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। আমার মেয়ের ৯০ হাজার টাকা মূল্যের একটি শখের ডিএসএলআর ক্যানন ক্যামেরাটিও নিয়ে যায়। ঐ গ্রামের সায়েদুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরের খাবারের পর থেকেই আমার পরিবারের ৫ জন অজ্ঞান হয়ে পরি। রাতে বিষয়টি তার সন্দেহ হলে সে তার আত্মীয়-স্বজনসহ শিবালয় থানায় ফোন করে পুলিশকে জানান। পুলিশ বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে সর্তক থাকার পরামর্শ দেন। রাতে তার ভাগিনা, শ্যালক, চাচাতো ভাই বাড়িতে পাহাড়ায় থাকেন। রাত তিনটার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগে দুবৃত্তরা ঘরের বেড়া কেটে ভিতরে ঢুকে নগদ ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও ৪ ভরি স্বার্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। একই কায়দায় ঐ গ্রামের ডাক্তারখানা মসজিদের ইমাম আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতেও হানা দেয় দুবৃত্তরা। বাড়ির লোকজন সজাগ থাকায় কোন কিছু না নিয়েই দ্রুত সটকে পড়ে দুর্বৃত্তের দল। শিবালয় থানার ওসি (তদন্ত) শেখ ফরিদ আহমেদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা গুলো আমরা গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছি। এলাকায় চুরি-ডাকাতি রোধে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকাবাসীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
আলোকিত প্রতিদিন/এপি