আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে চীন। রোগীর চাপে বেহাল দশা হাসপাতালগুলোর। শিল্পাঞ্চলীয় প্রদেশে ঝেজিয়াংয়ে দিনে ১০ লাখের মতো সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। আগামী দিনগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। তিন দশকেরও বেশি জরুরি চিকিৎসায় নিয়োজিত বেইজিংয়ের একজন চিকিৎসক হাওয়ার্ড বার্নস্টেইন। নিজের দীর্ঘ কর্মজীবনে এমন চিত্র কখনও দেখেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বেইজিংয়ের বেসরকারি র্যাফেলস হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল অফিসার সোনিয়া জুটার্দ বুরেউ বলেন, রোগীর সংখ্যা তাদের স্বাভাবিক মাত্রার থেকে পাঁচ থেকে ছয় গুণ বেশি। প্রায় এক দশক ধরে চীনে কাজ করা সোনিয়া জুটার্দ বুরেউর আশঙ্কা, বেইজিংয়ে এই তরঙ্গের সবচেয়ে খারাপ সময়টি এখনও আসেনি। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটি জিরো-কোভিড নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পর থেকেই করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। জিরো-কোভিড নীতিতে লাখো মানুষকে দীর্ঘদিন ধরে টানা লকডাউনে রাখা হয়েছিল।
এদিকে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন (এনএইচসি) করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ করা বন্ধ করায় দেশটিতে সংক্রমণের তথ্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। রবিবার হইতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রকাশ বন্ধ করে এনএইচসি।