কবিরহাটে কৃষি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটায়

0
313
একেএম ফারুক হোসাইন:
নোয়াখালী জেলার শস্য ভাণ্ডার খ্যাত কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের গঙ্গাপুর দীঘির পাশে গত ১৫দিন ধরে জনৈক শাহাবুদ্দিন এবং সালাউদ্দিনের কৃষি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে ইট ভাটার জন্য দেদারসে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং আঃলীগের নেতা কামাল কোম্পানি। এরকম একটি তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গেলে এর সত্যতা পাওয়া যায়। উক্ত কৃষি জমির মালিক শাহাবুদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার নিজের অবৈধ ইট ভাটার জন্য মাটির প্রয়োজনে দালালের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে প্রতি হাজার বর্গ ফুট ৩৬ শত টাকার ভিত্তি মূল্য চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছেন। আমরা চেয়ারম্যানের এ প্রস্তাব নাকচ করার সাহস রাখি না। প্রতিদিন- রাতে শত শত মাটির পিক-আপের আসা যাওয়ার কারণে পুরো গ্রামে ধুলিকাময় বালু পরিবেশকে ভারি করে তুলছে। শান্ত গ্রামটিতে এখন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে  মন্তব্য করেন স্থানীয় গ্রামবাসী।তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন এতোদিন ধরে মাটি কেটে পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে মাটি খেকোরা কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এদিকে কৃষি জমি সুরক্ষা আইনও শ্রেণী পরিবর্তন এবং পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি আইনের লোক হয়েও কীভাবে আইন লঙ্ঘন করছেন এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল কোম্পানির সাথে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি মাটি কাটার বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেন। এরপর তিনি এ প্রতিবেদককে নিউজ না করার পরামর্শ দিয়ে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, ভাই ব্যাক কিছু আইন দি বিবেচনা করলে চইলবো কেমনে? চইলতে তো হইবো। এরপরে একসাথে চা পানের প্রস্তাব দেন।কবিরহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অমৃত দেবনাথের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাকে মাটি কাটার লোকেশানটি মেসেজ করেন। আমি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। এরপরপরেই তাকে লোকেশানের সাথে ছবি সমেত হোয়াটসঅ্যাপ মেইল করা হয়।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ ডিসেম্বর– ২০২২/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here