বিএসএমএমইউতে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরদেহ হস্তান্তর

0
186

আলোকিত ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দেশ বরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের (৭৯) মরণোত্তর দেহদান করা হয়েছে।

৪ জানুয়ারি বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে তার মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়। এ দিন সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এসময় বিএসএমএমইউ উপাচার্য এ ধরনের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা এবং মরণোত্তর দেহদানকারী আত্মীয়সহ পরিবারের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউর এনাটমি বিভাগের দেহ সংরক্ষণ, পরীক্ষণ এবং গবেষণা সর্বাধুনিক। আমাদের এখানে যাদের দেহদান করা হয়েছে, তাদের স্বজনদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানো জানানো হবে। মরণোত্তর দেহদানের বিষয় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এসময় মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে সাঈদ হোসেন তমাল বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা সর্বস্ব ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তীতে সাধারণ হিউম্যান হয়ে গেছেন। তিনি সাধারণ হিউম্যান হতে পারেননি। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি তার দেহদান করে গেছেন।

এসময় এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের সব শিক্ষক, কর্মচা এবং রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ নেওয়া হয়।

দেহদান অনুষ্ঠানে মরহুমের বিদেহীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। মরণোত্তর দেহদানে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে প্রয়াতের একমাত্র ছেলে সাইদ হোসেন তমাল মরদেহকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সবাইকে এক মিনিট অবিরাম করতালির দেওয়ার অনুরোধ জানান। এসময় উপস্থিত সবাই এক মিনিট অবিরাম করতালি দিয়ে মরহুম স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনকে শ্রদ্ধা জানান।

পরে উপাচার্য ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতুত্বে মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরদেহটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগে সংরক্ষণ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার কাজে ব্যবহারের অনুমতিপত্রটি বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর হয়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, দিলি হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার সাংবাদিক শাবান মাহমুদ, রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদার, বিশ্বিবদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মেম্বার বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মেয়ে সোনিয়া কৃষ্টি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, এনাটমি বিভাগের শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here