ডিভোর্সের ঝোঁক নারী নাকি পুরুষ মধ্যে বেশি

0
203

লাইফস্টাইল ডেস্ক: 

বিশ্বব্যাপীই এখন বিবাহবিচ্ছেদের হার বাড়ছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবাহবিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি।

সেখানে প্রায় ৪৩-৪৬ শতাংশ বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। যার দুই-তৃতীয়াংশই নারীদের ইচ্ছায় হয় বিবাহবিচ্ছেদ। বিভিন্ন সমীক্ষার তথ্য অনুসারে, পুরুষের চেয়ে ডিভোর্সে নাকি নারীদের ঝোঁক বেশি।  বর্তমানে পুরুষের পাশপাশি নারীরাও আর্থিকভাবে সাবলম্বী হতে কর্মক্ষেত্রে পায়ে পা মিলিয়ে চলছে। সব নারীই এখন নিজ পায়ে দাঁড়াতে চান। তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং সফল হতে চান। এমনকি বিয়ের পরও স্বাধীনভাবে চলার স্বপ্ন দেখেন নারীরা। তবে বিয়ের পর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির পরিবার তার ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ভঙ্গ করলেই দেখা দেয় দাম্পত্য কলহ। যা একসময় বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে পুরুষরাই বিয়ের পর বেশি সুবিধা ভোগ করেন। একজন নারী সন্তান, পরিবার, কাজ, অফিস সব মিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করেন।

তবুও যখন স্বামী এবং পরিবারের কটূ কথা শুনতে হয় তাকে, তখন প্রতিবাদ করতে গেলেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে একসময় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটনা ঘটতে  পারে। সঙ্গী বিভিন্ন বিষয়ে অসমর্থন করলে নারীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। একজন নারী সবসময় তার সঙ্গীর কাছ থেকে মানসিক সমর্থন আশা করেন। তবে স্বামীর মনমতো না চলার কারণে অনেক নারীই সংসারে বিদ্রুপ এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হন। এ কারণে নারীরা একাকিত্বে ভোগেন।নারীরা তার মনের কষ্ট অন্যের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারেন না। ফলে তার মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে। যা বিবাহবিচ্ছেদের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি কোনো নারী তার স্বামীর মাধ্যমে মানসিক বা শারীরিকভাবে দুর্ব্যবহার বা নির্যাতনের সম্মুখীন হন তাহলে অবশ্যই বিবাহবিচ্ছেদই তার মুক্তির একমাত্র উপায়। পুরুষরা বিবাহবিচ্ছেদ চাইলেও তা দিতে ভয় পান। কারণ হলো তারা যদি প্রথমে বিবাহবিচ্ছেদ করতে চান তাহলে স্ত্রীকে তার পাওনা নগদ অর্থ কিংবা সম্পত্তি দিতে হতে পারে।

অনেকেই স্ত্রীর উপর চাপ দেন, যাতে তিনি নিজ থেকেই ডিভোর্স দেন। সেক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদ আরও ঝামেলাহীনভাবে সম্পন্ন হয়।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

আলোকিত প্রতিদিন/ ০৯ জানুয়ারি -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here