নিজস্ব প্রতিবেদক:
মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানানো হয়। ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনসই করা এ অভিনন্দন প্রস্তাব সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শহরভিত্তিক বৈদ্যুতিক রেল ব্যবস্থা মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করলো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকা মহানগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় যানজট নিরসন এবং পরিবেশ উন্নয়নে বিশেষায়িত, আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থায় মেট্রোরেল সেবা এমআরটি লাইন-৬ দিয়াবাড়ি হতে আগারগাঁও অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এই উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শহরভিত্তিক বৈদ্যুতিক রেল ব্যবস্থা মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করলো; যা বাংলাদেশের জনগণকে আধুনিক গণপরিবহন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে ব্যস্ততম শহরে স্বস্তির যোগাযোগ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন এবং বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার পূরণের পথ সুগম করেছে।
এতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় দেশের পরিবহণ এবং যোগাযোগ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনের মাধ্যমে উন্নয়ন যাত্রার সূচনা করেছিলেন। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সর্বাধুনিক করার জন্য বিভিন্ন মেগা প্রকল্প গ্রহণপূর্বক পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করছে।
অভিনন্দন প্রস্তাবে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা নগর গণপরিবহন ব্যবস্থায় একটি অনন্য মাইলফলক। জাইকার অর্থায়নে ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক বছরের পরিচালিত সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘এমআরটি লাইন-৬’ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। সরকার জাইকার কাছ থেকে কারিগরি এবং আর্থিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে ২০১১ সালে ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬ নির্মাণ’ প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৬ জুন ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন এবং এর চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রী হিসাবে যাত্রা করে বাংলাদেশে মেট্রোরেলের ইতিহাসে নব দিগন্তের সূচনা করেন।