ওষুধ কিনে ডিসকাউন্ট দাবি, না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধর

0
163

আলোকিত ডেস্ক:

ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার পর নিজেদের দাবি করা ডিসকাউন্ট না পেয়ে ব্যবসায়ীকে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী পরিচয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা নিজেদের ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছেন। ১৫ জানুয়ারি রবিবার দুপুরে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় ‘ধানমন্ডি ফার্মেসিতে’ এ ঘটনা ঘটে। ওই ফার্মেসির মালিক শেখ সাবের  এবং তার সহযোগীদের মারধর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দিকে ধানমন্ডি ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান ঢাকা কলেজের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস হলের রিদওয়ান ইসলাম হৃদয় ও পশ্চিম হলের রাহুল কুমার শীল। দোকানে এসে তারা কিছু ওষুধ নেন। ওষুধের দাম  ১৩৮০ টাকা। তারা এই টাকা না দিয়ে পুরো ওষুধের দাম থেকে ২৫ শতাংশ কমানোর দাবি করেন। ওষুধ বিক্রেতারা বলেন, ‘আমরা ২৫ শতাংশ কমাতে পারবো না। আমরা আপনাকে সর্বোচ্চ কেনা  দামে দিতে পারবো।’ এসময় বিক্রেতারা সর্বনিম্ন ১২০০ টাকা রাখতে রাজি হন। ওই শিক্ষার্থীরা দাম নিয়ে বিক্রেতার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে দোকান থেকে বের হয়ে যান। বের হয়ে তারা কলেজের ‘বড় ভাই’ খ্যাত শামীম পারভেজ, শাহরিয়া হাসনাত জিওন এবং মোহাম্মদ আলীকে ফোন দিয়ে ডেকে আনেন। তারা ১০-১৫ জনকে নিয়ে এসে ধানমন্ডি ফার্মেসির মালিক সাবেরকে ধরে কলেজ স্ট্রিটে নিয়ে যান।

সেখানে ফার্মেসির মালিককে মারধর করেন। তাকে বাঁচানোর জন্য কয়েকজন গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। আশপাশের এক ব্যবসায়ী ৯৯৯ এ কল দিলে নিউ মার্কেট থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযুক্তরা হলেন রিদওয়ান ইসলাম হৃদয়, রাহুল কুমার শীল, শামীম পারভেজ, শাহারিয়া হাসনাত জিওন, রফিকুল ইসলাম, শেখ হেলাল, মোহাম্মদ আলীসহ কয়েকজন। অভিযুক্তদের একটি অংশ নিজেদের ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আরেকটি অংশ সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী বলে দাবি করেন।

এ ঘটনায় ধানমন্ডি ফার্মেসির মালিক শেখ সাবের বলেন, দুজন প্রথমে আমাদের দোকানে আসেন ওষুধ কিনতে। ওষুধের দাম আসে ১৩৮০ টাকা। তারা এক হাজার টাকা দিয়ে চলে যেতে চান। আমরা বলি আপনি আমাদের কেনা দাম দিয়ে যান। তারা সেটি না দিয়ে আমাদের বিক্রেতার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করেন। আমি মীমাংসা করতে আসলে তারা আমাকে এবং আমার সঙ্গে কয়েকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের ফোন দিলে তাদের সবাইকে পাওয়া যায়নি। মোহাম্মদ আলী নামের এক অভিযুক্তের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।

এ ঘটনার বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, এ বিষয়ে জানি না। ঢাকা কলেজের কোনো শিক্ষার্থী এটি করে থাকলে দুঃখজনক। কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থী হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো। অন্যথায় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ১৬ জানুয়ারি -২০২৩/মওম

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here