ইমরান নাজির:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নে নীতিমালা ভঙ্গ করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার কয়েক বসতবাড়ি ধসে পড়ার আশংঙ্কা করছে ভূক্তভোগীরা। ভূক্তভোগী লোকজন এতে বাধা দিলেও কোন সুরাহ পাচ্ছো না। তারা দেদারসে ড্রেজার মেশিন চালিয়েই যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয়রা।
গতকাল সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শিমুলিয়া ইউনিয়নের শাকরাইল নতুন পাড়া গ্রামের জনৈক হালিম মেম্বারে পুকুর খননের নামে ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটির তলদেশ থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করছে নয়াকান্দির নবীণের ছেলে দেলোয়ার। এতে ভূমিতে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। পাড়ের মাটি ধীরে ধীরে ভেঙ্গে গর্তে পড়ছে। অথচ ওই জমির পাশেই রয়েছে তিনটি বসত-বাড়ি। দক্ষিণে আসলাম, উত্তরে কাদের এবং পশ্চিমে আ: করিমের বাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার এলাকাবাসী জানান, আমরা নিরীহ গরীব মানুষ। ওরা টাকা-পয়সা ওয়ালা কিছু বলতে গেলে আমাদের সমস্যা হতে পারে। এইভাবে এখান থেকে বালু উত্তোলন করা হলে, আমাদের ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে। আমরা বেশ কয়েকবার হালিম মেম্বারকে জানিয়েছি। কিন্তু কোন প্রতিকার পাইনি। এইভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আমাদের বসক-বাড়ি ধসে পাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আমরা অনেক বার বাধা দিয়েছি, তবে তারা কোন বাধা মানছে না।
এ বিষয়ে দেলোয়ারের ড্রেজার চালানোর অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, পুকুরে কিছু পানি আছে ঐ পানি নিস্কাসনের জন্য ড্রেজার বসিয়েছি। এখনো ড্রেজার চালানো কোন অনুমতি নেইনি। এই পানি শেষ হলে বাকি মাটিগুলো ভেকু দিয়ে কাটবো। তখন অনুমতি নিয়েই কাটব।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিসুর রহমান খান জানান, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু ড্রেজার এবং পাইপ ধ্বংশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডিসি স্যার এবং ইউএনও স্যারের কঠোর নির্দেশ আছে। অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩১ জানুয়ারি -২০২৩/মওম