আলোকিত ডেস্ক:
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সংসদ ভবন কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নর্ডিক রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতরা দেখা করেছেন।
২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসেন এবং নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় সংসদের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এসময় তারা নর্ডিক রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ, নারীর অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য অর্জন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে জনজীবন সুরক্ষিত করেছে সরকার। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নর্ডিক রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।’
রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্স বার্গ ফন লিন্ডে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জীবনমানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দৃপ্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি স্ট্রাপ পিটারসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নর্ডিক দেশগুলো আগ্রহী। জলবায়ু পরিবর্তনসহ বৈশ্বিক বিষয়ে নর্ডিক আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকবো।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশ এবং ডেনমার্কের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উপহারস্বরূপ একটি স্মারক গ্রন্থ স্পিকারকে প্রদান করেন।
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে নরওয়ে আন্তরিক। শিল্পের প্রসারে সহায়তা দিতে নরওয়ে আগ্রহী।’
রাষ্ট্রদূতরা জানান, ১৯৬২ সালের ২৩ মার্চ ঐতিহাসিক হেলসিংকি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যেই দিনটি নর্ডিক রাষ্ট্রগুলো ‘নর্ডিক দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকে। আগামী ২৩ মার্চ ‘নর্ডিক ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানান স্পিকারকে ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৩ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম