নিজস্ব প্রতিবেদক (নোয়াখালী):
নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার আবদুল্যা মিয়ারহাটে ভূমি অফিসে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠেছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার সংঘটিত পতাকা অবমাননার বিষয়টি নোয়াখালী হতে নিজস্ব প্রতিবেদক এক প্রতিবেদনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন,এই অফিসে একাধিকবার এসেছি কিন্তু কখনো পতাকা উত্তোলন অবস্থায় দেখি নাই। এসময় উপস্থিত স্থানীয় এলাকাবাসী এই বক্তব্যকে সমর্থন জানান।তারা আরো অভিযোগ করেন এখানে জমা খারিজ বাবদ মোটা অঙ্কের ঘুস দিতে হয়।ঘুস দেওয়া ছাড়া এখানে কোনো কাজই হয় না। জাতীয় পতাকা এবং নানা অনিয়ম প্রসঙ্গে ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা (তহসিলদার) বোরহান উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,” অফিসে বিশেষ দিনগুলোতে কেবল জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। কিন্তু পতাকা উত্তোলন আইনে প্রতিদিনের বাধ্যবাধকতা প্রশ্নে তিনি উম্মা প্রকাশ করেন। নানান অনিয়ম প্রসঙ্গে এলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। জাতীয় পতাকার অবমাননার বিষয় ও নানা অনিয়মের চিত্র তুলে সুবর্ণচর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) অশোক বিক্রম চাকমার মন্তব্য নিতে মুঠোফোন কথা হয়। তিনি বলেন,বিষয়টি আমি দেখছি। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনের তথ্য পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবদুল্যা মিয়ারহাটের তহসিলদার বোরহানের পিতা দীর্ঘদিন সেনবাগের বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এদিকে ইঙ্গিত করে একজন স্থানীয় বললেন,পিতা বিএনপির নেতা পুত্র জামাতের ঘোর ঘনিষ্ঠ বলেই অন্তরে এখনো পেয়ারে পাকিস্তান প্রেম। পতাকা উত্তোলন আইনে উল্লেখ করা আছে সরকারের সকল শুল্ক স্টেশনগুলোতে সরকারি সকল কর্ম দিবস ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক। যদি কেউ এ আইন লঙ্ঘন করেন সে ক্ষেত্রে অর্থ দণ্ডের পাশাপাশি জেল জরিমানার বিধান আছে। জাতীয় পতাকার অবমাননার ঘটনায় এলাকায় সর্বস্তরের জনগণের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দাবী করেন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৪ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম