অরেসুল ইসলাম রাসেল :
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নে বসবাসরতো মানুষদের যোগাযোগ সহজ করতে ৫২ মিটার দীর্ঘ আড়াই কোটি টাকা ব্যায়ে একটি সেতু নির্মিত হয় তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের হচ্ছে অসুবিধা।
স্থানীয়রা জানান পাঁচ বছর ধরে নির্মাণ কাজ চলার পর ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সেতুটির কাজ শেষ হয়েছে। তবে বিগত দেড় বছর হয়ে যাচ্ছে অথচ সেতুটির দুই পাশে তৈরি হচ্ছে না সংযোগ রাস্তা ফলে জনসাধারণের সেতুটি কোন কাজেই আসছেনা সেকারণে এখানকার কৃষকদের উৎপাদিত জমির ফসল, অসুস্থ রোগী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের পোহাতে হচ্ছে না রকমের ভোগান্তি। এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুতই বক্স কালভার্ট সহ সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হবে চৌহালী উপজেলা এলজিআরডি কার্যালয়ের সূত্রে জানাজায়, এই সেতুটি বাঘুটিয়া ও উমারপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের নাগরপুর-টাংগাইল এবং আরিচা-ঢাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ২৩ লাখ ৭৫০ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাব আরসি প্রাইভেট লিমিটেড এর সাথে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ২০১৭ সালে চুক্তি হয়,চুক্তি মুতাবেক ৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে বিনানই মরা নদীতে সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয়। সেতুটি ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ সালের মধ্যে কাজ সম্পূর্ন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েকবার চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ২৩ নভেম্বর ২০২১ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ব্যাব আরসি তবে দুই পাশের সংযোগ রাস্তা তৈরি না করে ফেলে রেখেছেন। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের জন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত দুই পাশে মাটি ভরাট করে দিয়ে যানবাহন এবং মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেওয়া।
বিনাইন গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্বাস উদ্দিন জানান-সেতুটি নদীর প্রস্থের তুলনায় কম করা হয়েছে। ১ বছরের প্রকল্প ৫ বছর হলো এখনো সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তাই দুই পাশের সংযোগ রাস্তা না হলে কোটি কোটি টাকার সেতু মানুষের কোন উপকারে আসবেনা, বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আর কেন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে না, এই বিষয়ে দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনকে চৌহালী উপজেলার প্রকৌশলী মো: সিরাজুল ইসলাম জানান- ইতিমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ব্যায় নির্ধারিত করে ১২ ফুট একটি বক্স কালভার্ট সহ সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তার নিকট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে অনুমোদন আসলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।
আলোকিত প্রতিদিন/ ৬ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম