খানসামায় মধ্যরাতে আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি ঘর

0
209

ফারুক আহম্মেদ:

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় রান্না ঘরের আগুনে ১৮ টি পরিবারের প্রায় ২০ টি ঘরের মালামাল, আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান গড় গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ড এর তারাপদ পাড়ায় এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, আগুনে ১১লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে খানসামা ফায়ার র্সাভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের লিডার নজরুল ইসলাম ‘অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন, ওই এলাকার খোকারাম ওরফে (হুটুম) এর ছেলে পরেশ, পরিমলের পুত্র কানাই, কানাইয়ের পুত্র জীবন, গোবিন্দ,শান্ত, মৃত দিনোনাথের পুত্র চন্দ্র ও তিলক রায়, পরেশ এর পুত্র উপেন, ছত্রমোহন এর পুত্র তাপস, কামিনী এর পুত্র খোকারাম এবং খোকারামের পুত্র সুবাস এ পরেশ, মৃত শরৎচন্দ্রের পুত্র গিরেন্দ্রনাথ এবং মৃত ঝাইয়া এর পুত্র চন্দ্রমহন ও সুনীল চন্দ্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরেশ চন্দ্র নামের একজনের রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছিল। আগুন লাগার সময় তার পরিবারের সদেস্যরা ঘরের ভিতরেই ছিল। পরে প্রতিবেশী তিলক রায় এবং জীবন আগুন দেখতে পায় চিৎকারে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বসত ঘর,রান্নাঘর, ঘরে থাকা সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং পরবর্তীতে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এবং খানসামা ফায়ার র্সাভিস স্টেশনের একটি ইউনিটের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আঙ্গারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ্ বলেন, আমি রাতের মধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।

উত্তরা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে আমরা তড়িৎ গতিতে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ীর পাশে একটি পুকুরে মেশিন লাগিয়ে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসি। পরবর্তীতে খানসামা ফায়ার সার্ভিসের আরো একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় তখন দুই ইউনিট মিলে উদ্ধার কাজে অংশ নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। তিনি আরো বলেন, এরকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা কাম্য নয়। সকলের সচতেনতাই পারে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে।

উল্লেখ্য, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন , ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসিদা আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, ১৫ টি পরিবারকে নগদ ২ হাজার করে মোট ৩০ হাজার টাকা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৫ টি পরিবারের মাঝে ৩০ টি কম্বল বিতারন করেন।

আলোকিত প্রতিদিন/ ৮ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here