আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রচণ্ড ঠান্ডা সঙ্গে বাতাস, কখনও আবার বৃষ্টি, এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় তুরস্ক-সিরিয়ায় গত সোমবার ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। চারদিনে অনেককে জীবিত বের করে আনা গেলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ক্ষীণ হয়ে আসছে। বেশির ভাগই উদ্ধার হচ্ছে লাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৫১ জনে।
৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী কম্পনের ১০০ ঘণ্টা পার। প্রাণের সন্ধানে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চলছে উদ্ধারকারীদের। বৈরী আবহাওয়া আর খাবার বা পানি ছাড়া ধ্বংসস্তূপে এতক্ষণ টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এই ভূমিকম্পকে ‘শতাব্দীর বিপর্যয়’ বলে অভিহিত করেছেন। উদ্ধার তৎপরতায় কিছুটা ধীরগতির কথা নিজে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। অনেক দেশ থেকে আসছে ত্রাণ এবং উদ্ধারকারী দল। দেশটির মৌলিক অবকাঠামো পুনর্নিমাণ ও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তুরস্ককে তাৎক্ষণিক একশ’ ৭৮ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার দেবে বিশ্বব্যাংক। এদিকে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, বিপর্যয়ের সম্পূর্ণ মাত্রা এখনও আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে, বিশেষ করে সিরিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধ দেশটিকে ধ্বংস করেছে সেখানেও ভূমিকম্পের তাণ্ডব লেগেছে। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম মানবিক সহায়তা ঢুকেছে।
১৯৯৯ সালে তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে ১৭ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এবারের ভূমিকম্প আগের সংখ্যাকেও ছাপিয়ে গেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলেছে, তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০টি আফটার শক হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা
আলোকিত প্রতিদিন/ ১০ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম