আব্দুল সাত্তার টিটু:
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে যুক্ত হয়েছে ২২০ ডিজিটের প্রিপেইড মিটারের টোকেন নাম্বার । এই বৃহৎ কর্মযজ্ঞ ২২০ ভিজিটের নাম্বার রিচার্জ করতে গিয়ে গ্রাহকদের পোহাতে হচ্ছে বিড়ম্বনা। বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেওয়া স্লিপে ২২০ ডিজিট নাম্বার প্রবেশ করাতে ভোগান্তিতে পড়ছেন গ্রাহকরা। কয়েকবার ভুল হলে মিটার লক হয়ে যাচ্ছে। এমন ভোগান্তিতে দিশেহারা চট্টগ্রামের প্রায় ৭ লাখ গ্রাহক।
নগরীর দোকানিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মিটার নাম্বার দিয়ে রিচার্জ করার পর বেশ কয়েক ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে টোকেন নাম্বার আসতে। মিটারের ২২০ ডিজিট নাম্বার কাগজের মধ্যে লিখে দিতে আমাদেরও সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় ডিজিট লিখতে ভুল হয়ে যায়। আবার সেই ডিজিট মিটারে একাধিকবার প্রবেশ করাতে গ্রাহকদের ভুল হচ্ছে। ফলে গ্রাহকরা মনে করছে দোকানীরা নাম্বার লিখে দিতে ভুল করছে। অনেক সময় আমাদের সাথে গ্রাহকদের বাক বিতণ্ডা পর্যন্ত হয়ে যাচ্ছে।
বাকলিয়ার গৃহিণী নাসরিন বলেন, ২২০ ডিজিটের নাম্বার মিটারে ডায়াল করেছিলাম কিন্তু ঘরে বিদ্যুৎ আসেনি, ভেবেছিলাম এডভান্স আর মিটার চার্জ বাবদ টাকা কেটে ফেলেছে, তাই দ্বিতীয়বার রিচার্জ করতে কয়েকবার ডায়াল করতে গেলে মিটার লক হয়ে যায়। শেষমেষ ওয়াবদার মানুষ এনে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে মিটার রিচার্জ করিয়েছি।
কর্পলোক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা দিদার বলেন, ২২০ ডিজিটের নাম্বার মিটারে প্রবেশ করাতে কয়েকবার ভুল হচ্ছে ফলে মিটার লক হয়ে যাচ্ছে এতে করে লক খোলাতে আমাদের অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। শঙ্কায় থাকি কখন আবার মিটারের টাকা শেষ হয়ে যায়। পুনরায় রিচার্জ করতে গেলে মিটার লক হয়ে যাবে। এমনিতে ফ্যামিলি চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে সেখানে আবার মিটার লকের অতিরিক্ত খরচ মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাধারণত বিদ্যুৎ অফিস থেকে দেওয়া ২০ টি ডিজিট বাটন দিয়ে প্রবেশ করাতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পর রিচার্জ এর ক্ষেত্রে প্রবেশ করাতে হচ্ছে ২২০টি ডিজিট।
এ প্রসঙ্গে বিবিবি-বাকলিয়া বাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল হক আলোকিত প্রতিদিন কে বলেন, মিটারের ডিজিট কমানোর জন্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ করছেন। মিটারের লক খুলতে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন মিটারের লক খুলতে কোনরকম চার্জ নেওয়া হচ্ছে না।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১১ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম