নাজমুল হাসান:
কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানাধীন গুনাইঘর উত্তর ইউপিস্থ ছেপাড়া গ্রামের ইদিল সরকার বাড়ীর আঃ ছামাদ(৬৩),পিতা- মৃত রৌশন আলী এর ৫ম সন্তান আব্দুল্লাহ আল মামুন(০৬) বাড়ি হতে গত ১৬/২/২৩ তারিখে নিখোঁজ হয়। এ সংক্রান্তে দেবিদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ জিডি গৃহীত হয়। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায় যে, আঃ ছামাদ(৬৩) এর বাড়িতে কৃষি কাজ করার জন্য শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আবুল বাশার ছেলেটিকে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। সে মুক্তিপণ দাবি করে। কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় দেবিদ্বার থানার একটি চৌকস টিম ভিকটিম উদ্ধারের উদ্দেশ্যে ঢাকা, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণের সাথে জড়িত আ: কাশেম এবং মোসা: সামিয়া নামে ০২ জনকে আটক করে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য মতে হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ থানা এলাকা হতে এসআই নিশান চন্দ্র বল ও এসআই নাজমুল সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভিকটিম আব্দুল্লাহ আল মামুন (০৬) কে নিখোঁজের ০২(দুই) দিন পর গত ১৮/২/২৩ তারিখে উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় ভিক্টিম আব্দুল্লাহ আল মামুন(০৬) এর পিতা বাদী হইয়া ০৫ জন আসামীর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিলে দেবিদ্বার থানার মামলা নং-১৬,তারিখ-১৯/০২/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৮/৩০ রুজু করা হয়। আসামী আবুল বাশারকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। ঘটনায় অপহৃত শিশু বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ঘটনার বর্ননা দেয় এবং গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কাশেম মিয়া (৪৫), পিতা- মৃত ওয়াজ উদ্দিন, মাতা- মোসাঃ আমেনা খাতুন, ২। মোসাঃ সামিয়া আক্তার (৩০), স্বামী- মোঃ কাশেম মিয়া, উভয় গ্রাম- প্রজারকান্দা, থানা- ইটনা, জেলা- কিশোরগঞ্জ, এ/পি গ্রাম- পাগার বটতলা (রোকন মিয়ার ভাড়া বাসা), থানা- টঙ্গী পূর্ব, জেলা- গাজীপুর-দ্বয় ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারামতে নিজেদের দোষ স্বীকার করিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়।
মাননীয় পুলিশ সুপার, কুমিল্লা জেলা মহোদয়ের নির্দেশনায় দেবিদ্বার থানা পুলিশ পেশাদারিত্ব বজায় রেখে প্রতিটি নাগরিকের সেবা প্রদানে সর্ব্বোচ্চ আন্তরিক।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২০ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম