ফারুক আহম্মেদ:
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে সবজিতে কিছুটা সস্তি ফিরলেও ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচা মরিচের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৬০থেকে ৮০ টাকা বেড়ে ১৪০ পেরিয়ে ১৬০ টাকা খুচরা বাজারে।
২৩ ফেব্র“য়ারি বৃহস্পতিবার খানসামা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও ছিলো ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
জানা যায়, রবি মৌসুমের এই সময়ে কৃষকের ক্ষেতে অধিক পরিমান কাঁচা মরিচ গাছে ঝুললেও সেগুলো তোলা হয় খুব কম। গ্রামের উচু জমির মরিচ লাগানো বেশীরভাগ কৃষক মরিচ শুকিয়ে বিক্রি করা লক্ষে গাছ থেকে মরিচ তুলছে না । এ কারণে কাঁচা মরিচ উৎপাদন কম হচ্ছে। কাঁচা মরিচের চাহিদা বেশি থাকায় হুহু করে দাম বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে ৬০ টাকা কেজি দামের কাঁচা মরিচ কয়েক দিনের ব্যবধানে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এর ফলে নিু আয়ের মানুষের কাঁচা মরিচ কেনার ক্ষয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।
বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা ইমরান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘শীত মৌসুমে অনেক ধরনের টাটকা সবজি বাজারে উঠেছে ভালো লাগছে। অনেক সবজি কিনলাম দাম কিছুটা কম। তবে গত ১০ দিন আগে আধা কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ৫০ টাকা দিয়ে আজ আধা কেজি কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। দামটা অস্বাভাবিক বেড়েছে মনে হয়।’
কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, ‘সবজির তুলনায় মরিচ কম পাওয়া যাচ্ছে কৃষকের কাছে। তাই দামটা এত বেশি। আমাদের আড়ৎদারের কাছ থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।’
এ বাজারে মরিচ কিনতে আসা হালিম নামের এক অটো চালক বলেন, ‘একদিকে কমেছে আয়-রোজগার। অন্যদিকে কাঁচা মরিচসহ বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। এমন পরিস্থিতির কারণে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে গেছে। যেন সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে।’ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শাহিনুর বলেন, ‘আমরা আড়ৎ থেকে অনেক বেশি দামে কিনতেছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে আমাদের করার কিছুই নেই’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বাসুদেব রায় বলেন, ‘উপজেলায় এ বছর ৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। প্রতি ১ একর জমিতে ১২ থেকে ১৫ মণ মরিচ ফলন হচ্ছে। এই সময়ে কৃষক গাছ থেকে কম মরিচ ছিঁড়ে বিক্রি করে। কারণ কাঁচা মরিচ এখন গাছে শুকিয়ে পরবর্তীতে সময়ে বিক্রি করবে।’
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৩ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম