এম জসিম উদ্দিন:
এমরান চৌধুরী বয়সে তরুণ হলেও দীর্ঘ সময় ধরে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর পতাকা নিয়ে বৃহত্তর চট্টগ্রাম তথা চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্নফুলিতে চষে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে এড়িয়ে যাওয়া যায়না। আলোচনা সমালোচনার তোয়াক্কা না করে দল এবং জনগণের স্বার্থে আপন মনে কাজ করে যাচ্ছেন এমরান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৩ আনোয়ারা-কর্নফুলি উপজেলা থেকে অংশ নিবেন তিনি। বিগত কয়েকমাস ধরে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ এবং নিজের ফেসবুক পেইজে এবং দলের নেতা-কর্মী ও জনসাধারণকে এ বার্তা দিয়ে দিচ্ছেন এমরান চৌধুরী। পরোপকারী জনহিতকর কর্মের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে এমরান তৃণমূল নেতা-কর্মীদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। এমরান বলেন, দল থেকে চাওয়া পাওয়ার কিছুই নেই, বরং দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছি। নতুন বছর ২০২৩ কে শুভেচ্ছা জানিয়ে এমরান লিখেন ‘নতুন বছর সবাইকে শুভেচ্ছা’। আগামী সংসদ নির্বাচনে আমি এমরান চৌধুরী আপনাদের মাঝে আসছি। আপনাদের ভালোবাসা ও দোয়া চাই। আমার রাজনৈতিক অভিভাবক ববি হাজ্জাজ এর দল এনডিএম আনোয়ারা-কর্নফুলিবাসীর কাতারে আসবে, ইত্যাদি ইত্যাদি।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম পর্যায়ে আংশিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে ববি হাজ্জাজের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল জাতীয়তাবী গণতান্ত্রিক দল এনডিএম। গত ১৪ জানুয়ারী ২০২৩ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ববি হাজ্জাজ। এসময় গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে প্রথম পর্যায়ে ৩০ জন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন এনডিএম’র যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী মোমিনুল আমিন।
এমরান চৌধুরী আনোয়ারা উপজেলার ৬ নং বারখাইন ইউনিয়নের আদর্শ গ্রাম শিলাইগড়ার আলি আহমদ সওদাগরের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মৃত শাহ্ আলম ছিলেন একজন নামকরা ব্যবসায়ী। দাদা মরহুম আলী আহমদ সওদাগর ছিলেন প্রসিদ্ধ জমিদার। তিনি তৎকালীন বার্মার রেঙ্গুন এবং আকিয়াবের সাথে বানিজ্য করতেন এবং চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের সফল ব্যবসায়ী ছিলেন।
রাজনৈতিক পরিচয়:- ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত প্রথম বিভাগীয় সন্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে রাজনৈতিক পদযাত্রা শুরু করেন। ২০১৯ সালের ৩০ শে জানুয়ারী সিংহ মার্কা নিয়ে এনডিএম নিবন্ধন পাওয়ার পর একই বছর ২৭ শে সেপ্টেম্বর আনোয়ারা সদরে এক কর্মী সন্মেলনে এমরান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ঘোষণা করেন দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। এরপর ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পান। এমরান চৌধুরীর মেধা, শ্রম এবং তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞাকে মূল্যায়ন করে পরবর্তীতে এনডিএম এর ঢাকার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ তাঁকে কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ভূষিত করেন। সর্বশেষ সন্মেলনে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে দলের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ এমরান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেন। মহানগরের দায়িত্ব পাওয়ার পর অন্যান্য সাংগঠনিক এলাকার মতোই দলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য এবং চিন্তাচেতনা জনগণের দৌড় গোড়ায় পৌঁছাতে জনবান্ধব নানা কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন এমরান চৌধুরী। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে সংসদীয় এলাকায় কি কি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেন? এর জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে জনগণের প্রকৃত সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। এলাকার অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করবো, এ আমার প্রত্যাশা। সুতরাং জনপ্রতিনিধি নয়, আমি হতে চাই জনগণের প্রকৃত সেবক। এমরান ছোট-বড় ভেদাভেদ করে না। তিনি সাদাকে সাদা বলেন, কালোকে কালো বলেন।
এজন্যই চট্টগ্রামের সুধী সমাজে আছে তার সুনাম। এমরান চৌধুরীর মতো একজন অসাম্প্রদায়িক প্রগতিবাদী দায়িত্ববান মানুষ বর্তমান সমাজে বড়ই বিরল। ভালো মানুষ হিসেবে তার সুখ্যাতি ছিল এবং এখনো আছে। সবধরনের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিতের মাধ্যমে সম্প্রীতির উপজেলা গড়ার শপথ করেন তিনি ।
আলোকিত প্রতিদিন/ ২৬ ফেব্রুয়ারি -২০২৩/মওম
