কয়রায় তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

0
177

প্রতিনিধি,কয়রা:

দক্ষিণ খুলনার সমুদ্র উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রায়,  তরমুজ চাষে ভালো ফলনের আশায়  তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। লবনাক্ত অঞ্চল হিসেবে বিগত দিনগুলোতে তরমুজ চাষের জন্য কোন চিন্তাই করতেন না
কৃষকরা। সাম্প্রতিক এ অঞ্চলে বিলের পর বিল তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এবং ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বছর আটের আগে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে শুধুমাত্র আমাদী ইউনিয়নের চন্ডিপুর হাতিয়ায়ডাঙা, নাকশা,পাটনিখালি, বেজপাড়া,শুড়িখালি,হরিনগর বিলে তরমুজ চাষ শুরু হয়। আশানুরূপ ফলন হওয়ায় পর্যায়ক্রমে আরও ৫ টি ইউনিয়নে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে তরমুজের চাষ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানান, গত বছর খরার মধ্যেও ভালো ফলন হওয়ায় এ বছর তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে আমাদী ইউনিয়নের ৮০০, বাগালী ইউনিয়নে ৬০, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে ৭, মহারাজপুরে ৩, কয়রা সদরে ৩, এবং উত্তর বেদকাশীতে দেড় হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। এ বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ৬৫০ হেক্টর। এ বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে বেশি তরমুজ চাষ হয়েছে।
সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত শেষে নারী এবং শিশুরাও তরমুজের বীজ বপনের কাজে মাঠে নেমে পড়েছে। বেশির ভাগ জমিতে বীজ বপন করা হয়ে গেছে। বীজ বপন হয়ে যাওয়া জমিগুলোতে সার, পানি এবং কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে।

রণজিৎ বিশ্বাস নামের এক তরমুজচাষী বলেন, ‘আমার দুই বিঘা জমিসহ তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। ৯ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে পাকিজা এবং সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ কিনে দুই বিঘায় পাকিজা এবং এক বিঘায় সুপার ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ বপন করেছি। কিছু বীজ থেকে চারা গজিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্য সব বীজ থেকেই চারা গজিয়ে যাবে। এ বছর আবহাওয়া তরমুজ চাষের অনুকূল। আশা করছি বেশ ভালো ফলন হবে।
আরেক কৃষক বলেন, ‘গত বছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর আরও বেশি লাভের আশায় নিজের ৩০ হাজার টাকাসহ সমিতি থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ এবং হাজারে ৫০ টাকা হারে মাসিক সুদে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্য জমিতে বপন করা বীজ থেকে তরমুজের চারা বের হবে বলে আশা করছি।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ বছর উপজেলার আমাদী, বাগালী এবং মহারাজপুর ইউনিয়নে তরমুজের চাষ হচ্ছে। গত বছর কৃষকেরা তরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। ফলে এ বছর উপজেলায় গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন/ ০৫ মার্চ -২০২৩/মওম

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here