গোলাম রাব্বানী:
নাটোর সদর উপজেলার চন্দ্রকলা বাজার সংলগ্ন মজনু মাস্টারের মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্তরা।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।
মার্কেট মালিক মিজানুর রহমান মজনু বলেন, বাজার মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম আমরা। মোনাজাত শেষ না হতেই মার্কেটে আগুন ধরার খবর পাই। তাড়াহুড়ো করে মার্কেটের কাছে এসে দেখি দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পরে মুসল্লি এবং স্থানীয়রা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে চারটি দোকানে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো হলো মোঃ আশরাফুল ইসলামের কম্পিউটার এবং কসমেটিকস, মহিদুল ইসলাম বাবুর কীটনাশক, মোঃ আকাব আলীর ইলেকট্রিক সার্ভিসিং এবং মিজানুর রহমান মজনু’র ফার্মেসির দোকান। যার মধ্যে প্রথম দুটি দোকানের মালামাল পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান । তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা এবং ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ প্রদান করেন।
নাটোরে পৃথক অগ্নিকান্ডে দুই শিশুসহ মায়ের মৃত্যু
নাটোরের বড়াইগ্রামের খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামে অগ্নিকান্ডে পুড়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহত মায়ের নাম সোমা আক্তার (৩০), নিহত দুই সন্তানের নাম অনিয়া (১০) এবং অমর (৩ বছর ৬ মাস)। অগ্নিকাণ্ডে স্বামী অলি প্রামাণিক (৩৫) মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার খাকসা উত্তরপাড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আগুন ছড়িয়ে পড়লে অলি প্রামানিক এবং তার বৃদ্ধ মা ঘর থেকে বের হতে পারলেও তার স্ত্রী এবং দুইসন্তান ঘর থেকে বের হতে পারনি। আগুন পুড়েই তাদের মৃত্যু হয়। এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে স্বামী অলি প্রমানিক দগ্ধ হন। পরে তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাটোর ও বনপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ফলে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান তারা।
বড়াইগ্রাম থানার কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বলেন, আগুনে পুড়ে এক গৃহবধূ এবং তার দুই শিশু সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। স্বামী অলিকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। তিনি নিহতদের দাফন কাফনের জন্য বিশ হাজার টাকা আত্মীয়-স্বজনের কাছে স্থানান্তর করেন। আহতের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং পুড়ে যাওয়া ঘরের স্থানে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলোকিত প্রতিদিন/ ০৮ মার্চ -২০২৩/মওম