আজ জাতীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস

0
293

আলোকিত ডেক্স :

প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ। প্রতিবছরই এখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। অবশ্য ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেই এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে এসব দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস আজ। ২০১৬ সালে প্রতি বছর ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। আগে প্রতি বছর মার্চ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত হতো। এটি করতে গিয়ে দেখা গেছে শেষের বৃহস্পতিবারটি ২৬ মার্চ হয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ সময়ই তাই হচ্ছে। সে জন্য দিনটি সংশোধন করে ১০ মার্চ করা হয়। আজ (১০ মার্চ, শুক্রবার) বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশের প্রত্যয়, দুর্যোগ প্রস্তুতি সবসময়’। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন করাই দিবসটি পালনের লক্ষ্য। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে জানায়, সঠিক সময়ে যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করা গেলে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব।

রাষ্ট্রপতি জানায়, ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সরকার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দুর্যোগ মোকাবিলায়ও স্মার্ট পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি। দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও  প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, ঝুঁকি বিশ্লেষণ ও চিহ্নিতকরণ, ঝুঁকিহ্রাস কৌশল নির্ধারণ, বিপদাপন্নতা হ্রাসসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া, সরকারের সকল ডিজিটাল সেবাকে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডে নিয়ে আসা এবং প্রান্তিক পর্যায়ের ডিজিটাল লিডারশিপ তৈরিও অত্যন্ত জরুরি। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগলিকভাবে দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও একটি শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সময়োপযোগী আইন, বিধি পরিকল্পনা, দুর্যোগবিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুযোর্গজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

আলোকিত প্রতিদিন / ১০-০৩-২০২৩

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here