আলোকিত ডেস্ক:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিএমপি, এপিবিএন সদস্যসহ ৫ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তৎপর রয়েছেন। সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শুরু হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগ, নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার দিনভর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মিছিল স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। পাল্টাপাল্টি নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি ঘোষণা করে উভয়পক্ষ। রাতে বিএনপি এবং আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
এদিকে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, ব্যারিস্টার খোকন এবং কাজলের নেতৃত্বে ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। বিএনপির আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ এবং মারধরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেছেন, এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দায়িত্ব পালনের সময় সবার সতর্ক হওয়া উচিত। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
১৫ মার্চ বুধবার দুপুরে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতির নেতৃত্বে সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধি দল অভিযোগ জানাতে গেলে তিনি এ আশ্বাস প্রদান করেন। প্রধান বিচারপতি সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আহমেদ সারওয়ার ভুঞা, সহ-সভাপতি দিদারুল আলম দিদার, সাবেক সভাপতি এম বদিজ্জামান এবং সাবেক সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন।
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতের সময় আপিল বিভাগের সকল বিচারপতি উপস্থিত ছিলেন।
আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের ওপর লাঠিচার্জ এবং মারধর করে পুলিশ। এতে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক আহত হন।
আলোকিত প্রতিদিন/ ১৫মার্চ-২০২৩/মওম